নওশাদকে প্রথম হামলা করেন প্রযোজক খসরু
সেন্সর বোর্ড সদস্য ও ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলের স্বত্বাধিকারী ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের ওপর প্রথম হামলা করেছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তিনি নওশাদকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে গিয়ে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।
আজ শনিবার বিকেলে ২১ জুনের ওই ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওচিত্রে এসব ঘটনা স্পষ্ট দেখা গেছে। এ ছাড়া ওই ঘটনার এক ও দেড় মিনিটের আরও দুটি ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে।
যৌথ প্রযোজনার অনিয়ম বন্ধের দাবিতে ২১ জুন সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ নামের ১৮ সংগঠনের ঐক্যজোট। সেখানেই এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ।
এ ঘটনার জন্য প্রথম থেকেই ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়ক রিয়াজ ও শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে দায়ী করে আসছিলেন।
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, ফোনে কথা বলতে বলতে সেন্সর বোর্ডের দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন নওশাদ। পাশ থেকে ভিড় ঠেলে এগিয়ে আসেন খসরু। তিনি দুই হাতে নওশাদকে সামনে টেনে আনেন। এরপর জোরে ধাক্কা দিতে দিতে ক্ষুব্ধ কর্মীর ভিড়ের দিকে ঠেলে দেন। শেষের দিকে ডান হাতে একটা থাবা দেওয়ার ভঙ্গিও ভিডিওতে দেখা গেছে।
আরেকটি ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, লাঞ্ছিত হওয়ার পর পুলিশ বিধ্বস্ত নওশাদকে সেন্সরবোর্ড অফিসে নিয়ে যান। সে সময়ও ক্ষুব্ধ কয়েকজন নওশাদের গায়ে হাত তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার খোরশেদ আলম খসরুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি প্রথমে বন্ধ ও পরে ব্যস্ত পাওয়া যায়।
সেদিন আসলে কী ঘটেছিল—জানতে চাইলে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘আমি যৌথ প্রযোজনার ছবি দুটির (নবাব ও বস-টু) প্রিভিউ করতে সেন্সর বোর্ডে যাচ্ছিলাম। বোর্ডের সদস্য হিসেবে সরকারি কাজে আমি সেখানে যাই। গেটে ঢোকার আগ মুহূর্তে মিশা সওদাগর আমাকে ডাকেন। সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তাঁরাই প্রথম আঘাত করেন। এরপর অন্যরা চলে আসেন।’