নিজেই জানি না, কেন এত খুশি

শুক্রবার, ছুটির দিনের সন্ধ্যা। এফডিসি একদমই সুনসান। বেশির ভাগ ফ্লোর ঘুরে দেখলাম, কোথাও কোনো শুটিং নেই। বের হওয়ার সময় কড়ইতলার দিকে যেতেই দেখলাম অনেক লোকের জটলা। আলোও জ্বলছে। গাছের ঠিক গোড়ায় একটি মঞ্চ বানানো। সেখানে সার বেঁধে বসে আছে লোকজন। মোটরসাইকেল পার্কিং করে সামনের দিকে এগোতেই চোখে পড়ল, মঞ্চের ঠিক মাঝখানে বসে আছেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক আরফিন রুমী। এখানে আবার কী করছেন তিনি? নতুন কোনো গানের ভিডিওর শুটিং? তা-ও না। সামনে যেতেই রুমী বলেন, ‘সিনেমার শুটিং করছি।’

এফডিসির কড়ইতলায় ‘জান্নাত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় আরফিন রুমী ও সাইমন সাদিক। ছবি: মনজুর কাদের
এফডিসির কড়ইতলায় ‘জান্নাত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় আরফিন রুমী ও সাইমন সাদিক। ছবি: মনজুর কাদের

কিছুদিন বিরতির পর এফডিসিতে শুরু হয়েছে ‘জান্নাত’ সিনেমার শুটিং। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। চারটি গানের সংগীত পরিচালনাও করেছেন রুমী।

মঞ্চের ঠিক ডানে চোখ পড়তেই দেখলাম, কালো পাঞ্জাবি আর মাথা মোড়ানো পাগড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন চিত্রনায়ক সাইমন। আরফিন রুমীর গাওয়া গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাচ্ছেন তিনি। শুটিংয়ের বিরতিতে রুমী বলেন, ‘প্রথম কোনো বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করছি। কাজটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আমি বেশ খুশিও। তবে আমি নিজেই জানি না, কেন এত খুশি।’

সিনেমার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন, জানতে চাইলে আরফিন রুমী বলেন, ‘গান গাওয়ার পাশাপাশি গান ভিডিওতে অংশ নিয়েছি। কিন্তু সিনেমার কাজ আসলেই কঠিন।’

আপনি বলছেন এবারই প্রথম সিনেমায় অভিনয় করছেন। কিন্তু যতদূর জানি এর আগে ‘ছায়া-ছবি’ নামের একটা সিনেমায় আপনি অভিনয় করেছেন। রুমী বলেন, ‘ও হ্যাঁ, এর আগে “ছায়া-ছবি” নামের সিনেমায় কাজ করেছি। পাঁচ বছর আগের ঘটনা। তবে এই সিনেমায় কাজ করে মনে হয়েছে, এটা আমার অভিনয়জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

‘জান্নাত’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন সাইমন ও মাহি। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ‘জান্নাত’ সিনেমার শুটিং আগামীকাল রোববার শেষ হচ্ছে। পরিচালক বলেন, সামনের বছরের শুরুর দিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে এই সিনেমা।