'মাশরাফি-সাকিবকে অনুসরণের আগে তুষার-রাজ্জাকের কাছে শেখা উচিত'
অসামান্য অর্জন অবশ্যই। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একজন গড়েছেন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের রেকর্ড, আরেকজন প্রথম ৫০০ উইকেটের কীর্তি। তুষার ইমরান-আবদুর রাজ্জাকের এই অর্জনকে সম্মান জানাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ঘরোয়া ক্রিকেট আরও নির্দিষ্ট করে বললে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ তাঁরা। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তুষার খেলেছেন ১৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, রাজ্জাক ১১৩টি। ক্যারিয়ারের গোধূলিতেও দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ধারাবাহিক আলো ছড়াচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। তুষারের ব্যাট নিয়মিত কথা বলে, রাজ্জাকের স্পিন মায়াজালে প্রতিপক্ষ আটকা পড়ে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত এই ছুটে চলা দুই ক্রিকেটার কি পাচ্ছেন তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটা? মাশরাফি বলছেন, খেলোয়াড়েরা সব সময়ই সম্মান করেন দুজনকে, ‘খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পাচ্ছে। আমরা একটু আগে (টিম) বাসে আসার সময়ও তাদের নিয়ে কথা বলছিলাম। তুষার ইমরান ১০ হাজার রান করেছে, রাজ্জাক ৫০০ উইকেট পেয়েছে। তাদের যে সম্মানটা মন থেকে দেওয়া দরকার, খেলোয়াড়েরা সেটা দিচ্ছে। আর যে বয়সে তারা এসে পৌঁছেছে, আমি মনে করি না তাদের সামর্থ্য নেই। এখনো তারা দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ।’
রাজ্জাক-তুষারের কাছ থেকে তাই তরুণ ক্রিকেটারদের শিখতে বললেন মাশরাফি, ‘যে আত্মনিবেদন নিয়ে ওরা খেলে যাচ্ছে সেটা অনেক বড়, তাদের অনুসরণ করা উচিত। এতটুকু বলব, নতুন বা উদীয়মান খেলোয়াড়দের অনেক কিছু শেখার আছে। সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিকেরা কী করছে, সেটা অনুসরণ করার মানসিকতা সবার। আমি মনে করি, তাদের (তুষার-রাজ্জাক) কাছ থেকে শিখে এসে এখানে খেলা উচিত।’
মাশরাফি যোগ করেছেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ বা ১০ হাজার কোনো হেলাফেলা বিষয় নয়। খেললেই যে করে ফেলব, এমন নয়। তাদের ১৭-১৮ বছর খেলতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই সব নয়। সুস্থ থেকে এত দিন খেলে গেছে, তাদের যে সম্মানটা দেওয়া দরকার সেটা খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে আমরা দিতে চাই এবং দিচ্ছি। হয়তো আনুষ্ঠানিক কিছু সম্ভব হয়নি। তবে অবশ্যই আমাদের জায়গা থেকে তাদের সম্মান দিই।’