বিশ্বসুন্দরী নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর সুস্মিতা সেনের প্রতিক্রিয়া। ছবি: রয়টার্স
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর সুস্মিতা সেনের প্রতিক্রিয়া। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বসুন্দরী কে হবেন, আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মাফিয়ারাই তা ঠিক করেন। তাঁদের সৌজন্যেই ভারতে লাগাতার বিশ্বসুন্দরীর খেতাব আসে। এমনই মন্তব্য করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। গতকাল বৃহস্পতিবার আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অন্য দুই বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে ভারতের মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: রয়টার্স
অন্য দুই বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে ভারতের মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: রয়টার্স

মহাভারতের যুগেই ভারতে ইন্টারনেট আবিষ্কারের কথা বলে এর আগে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বেফাঁস মন্তব্যের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই আলোচিত ও সমালোচিত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কবিকৃতির কথাও শোনা গেছে তাঁর ভাষণে।

বিপ্লব কুমার দেব এবার ভারতীয় সংস্কৃতির প্রশংসা করতে গিয়ে ফ্যাশন শোকেই আক্রমণ করলেন। বিপ্লবের দাবি, নারীরা ইদানীং বেশি প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করছেন। কিন্তু এটা অপ্রয়োজনীয়। তাঁর দাবি, শরীরে মাটি, গায়ে ছাই মেখে ভারতীয় নারীরা ভালোই ছিলেন। মেথির জল চুলে দিলে চুল পড়া বন্ধ হয়। কিন্তু প্রসাধনসামগ্রীর বিক্রেতা বহুজাতিক সংস্থাগুলোই ভারতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি নারীদেরও সর্বনাশ করে দিচ্ছে।

২০০০  সালে মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হন ভারতের লারা দত্ত। ছবি: রয়টার্স
২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হন ভারতের লারা দত্ত। ছবি: রয়টার্স

বিপ্লব কুমার দেবের সাফ কথা, ভারতের ১২৫ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকই নারী। তাই এই বিশাল বাজার ধরতেই আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মাফিয়ারাই ঠিক করে দেন কে হবেন বিশ্বসুন্দরী।