'হোয়াই নট'-এর জয়

চ্যাম্পিয়ন ‘হোয়াই নট’ দলের সদস্যরা
চ্যাম্পিয়ন ‘হোয়াই নট’ দলের সদস্যরা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বল রুম সেজেছিল জাঁকজমকপূর্ণ সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশ আয়োজিত প্রতিযোগিতা ‘বিজমায়েস্ত্রোস’-এর চূড়ান্ত পর্বের আসর বসেছিল এই দিন।
বিজমায়েস্ত্রোসের এটি অষ্টম আসর। এ বছর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯৪টি দল অংশ নিয়েছিল। তিনটি ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় লড়ার সুযোগ পায় পাঁচটি দল—সেকেন্ড স্ট্রিং, আ ফিউ গুড মেন, আনসারটেইনিটি প্রিন্সিপাল, হোয়াই নট ও ওয়াচমেন। অনলাইনে ও সরাসরি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড পিওরইটের প্রচারণা চালিয়েছিলেন পাঁচ দলের সদস্যরা। সেই কার্যক্রমই তাঁরা তুলে ধরেন ‘প্রেজেন্টেশন’-এর মাধ্যমে। প্রতিটি দল সময় পেয়েছিল ১৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। নিজেদের ভাবনা উপস্থাপনের পর প্রতিযোগীরা বিচারকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিওও কেদার লেলে, কাস্টমার ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর কে এস এম মিনহাজ, ফিন্যান্স ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম, সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর আমিনুর রহমান ও হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর কুনাল শর্মা।
ফলাফল ঘোষণার আগে গান পরিবেশন করেন শিল্পী জেফার রহমান। এরপর রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফলাফল জানানোর জন্য মঞ্চে আসেন বিচারকমণ্ডলী। বিচারকদের রায়ে দ্বিতীয় রানারআপ হয় সেকেন্ড স্ট্রিং, প্রথম রানারআপ ওয়াচমেন দল। আর বিজয়ী? হোয়াই নট। তিনটি দলের প্রত্যেক সদস্যের হাতেই তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। কথা হলো বিজয়ী দল হোয়াই নটের তিন সদস্য মাহবুব রহমান, আফনান বিন আশরাফ ও মোহাম্মদ রাফিদুরের সঙ্গে। তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ছাত্র। বিজয়ীরা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মোট তিনটি ধাপে মাঠপর্যায়ে কাজ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজ করতে হয়েছে আমাদের। এসব কিছুর ওপর ভিত্তি করে ক্যাম্পেইনটি দাঁড় করানোই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।’
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে হোয়াই নট ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস লিগ ২০১৮-তে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। গন্তব্য এবার লন্ডন। বেশ বড় দায়িত্ব হোয়াই নটের সদস্যদের কাঁধে। এ প্রসঙ্গে বিজয়ী দলের বক্তব্য, ‘আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা অনেক বড় একটা পাওয়া। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যা শিখেছি, সেগুলো কাজে লাগিয়ে সেখানে আরও ভালো কিছু করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আমাদের।’
ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস লিগ ২০১৮ থেকে ফিরে বিজয়ী দলের তিন সদস্যই ‘ইউনিলিভার ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামে’ সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ইউনিলিভারের কর্মকর্তারা ছাড়াও এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিচালক এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতাটি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের বিষয়গুলো সম্পর্কে বাস্তব ধারণা নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। যেহেতু তাঁরা প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত মাঠপর্যায়ে গিয়ে সংগ্রহ করছে এবং তাদের বিভিন্ন সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারছে, সেহেতু আমার কাছে প্রতিযোগিতার কার্যক্রমগুলো খুব কার্যকর মনে হয়েছে।’