ব্যর্থ প্রেমিক থেকে নোবেলজয়ী

রেইনার ওয়েইজ
রেইনার ওয়েইজ

২০১৬ সালে ‘গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েবস’ শনাক্ত করে রেইনার ওয়েইজ আলোড়ন তুলেছিলেন। আলবার্ট আইনস্টাইনের ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করে সে সময় বেশ আলোচিত হন তিনি। ‘লেজার ইন্টাফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েব অবজারভেটরিতে’ (এলআইজিও) একদল বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করে এই তরঙ্গ শনাক্ত করেন রেইনার। আবিষ্কারটি ২০১৭ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়।

নোবেল বিজয়ী এই বিজ্ঞানীও কিন্তু শিক্ষাজীবনে একবার ড্রপআউট হয়েছিলেন। কলম্বিয়া গ্রামার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) ভর্তি হন তিনি। সে সময় গান আর ইলেকট্রনিকস তাঁকে বেশি টানত। এমআইটির ছাত্র থাকা অবস্থায় হুট করে এক নারীর প্রেমে পড়েন রেইনার। তাঁর কাছ থেকে নাচ আর পিয়ানো বাজানো শেখার চেষ্টা করেন। একদিকে প্রেম, অন্যদিকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জটিল হিসাব-নিকাশ—হাবুডুবু খেতে খেতে প্রেমের টানে পড়াশোনাকেই বিদায় জানান রেইনার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ‘ব্যর্থ প্রেমিকদের’ দলে নাম লিখিয়েছিলেন এই সফল বিজ্ঞানী। রেইনারের ভাষ্য, ‘তখন আমি প্রেমে পাগল ছিলাম। পাগলকে নিশ্চয়ই কেউ ভালোবাসে না! কলেজ পাস করতে পারছিলাম না বলে তখন সবাই বলেছিল আমি শেষ। আসলে তো তা নয়। তখনো আমার সুযোগ ছিল।’ নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আবারও পড়াশোনায় ফেরেন রেইনার ওয়েইজ। এমআইটির অধ্যাপক জেরোল্ড জ্যাকেরিয়াসের অধীনে প্রথমে তিনি এমআইটিতেই একটি প্রকল্পে টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি নেন। পরে জেরোল্ডের তত্ত্বাবধানেই ব্যাচেলর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো, যেই এমআইটি থেকে ড্রপআউট হয়েছিলেন, সেখানেই শিক্ষক হিসেবে পরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

সায়েন্স ম্যাগ অবলম্বনে