চলো চলো সামনে চলো

ঢাকার রাজপথে স্কুটি চালিয়ে কাজে যান অনেক নারী। তেমনই একজন জলি। ছবি: সুমন ইউসুফ
ঢাকার রাজপথে স্কুটি চালিয়ে কাজে যান অনেক নারী। তেমনই একজন জলি। ছবি: সুমন ইউসুফ

চলো চলো সামনে চলো। পা চালিয়ে পা চালিয়ে।
সত্যিই তো, এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়া লাগেই।
এই তাড়া নিজের ভেতর থেকে যেমন চাই, তেমনি চাই আশপাশ থেকে, পরিবেশ থেকে, সমাজ থেকে...।
তাই হয়তো এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রগতিকে দাও গতি’।

সেই কত বছর আগে ১৯০৮ সালে নিজেদের অধিকারের দাবিতে নিউইয়র্কের পথে নেমেছিলেন শ্রমজীবী নারীরা, সেই গতিতেই এগিয়ে যাওয়া। জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ১৯০৯ সালে প্রস্তাব দিলেন একটি দিন হোক নারীদের অধিকার আদায়ের দিন। শেষমেশ ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ মার্চকে জাতিসংঘের নারী দিবস ঘোষণা করা হয়।

একটি দিন নারী দিবস, কিন্তু নারীর লড়াই প্রতিদিনের। লড়াইয়ে হেরে না গিয়ে এগিয়ে যান যাঁরা, তাঁরাই অনুপ্রেরণা জোগান অন্যদের। নিজেদের দক্ষতার গুণেই। আমরা আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমন নারীদের গল্পই শোনাব, যাঁরা প্রগতিকে দিয়েছেন গতি। কেউ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক হয়ে কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে, কেউবা সাইকেল চালিয়ে গেছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। গৃহকর্মী থেকে মাইক্রোসফটের শুভেচ্ছা দূত হওয়া কি চাট্টিখানি কথা? আর রাঙামাটির অজানা-অচেনা এক কিশোরীর গান হঠাৎ করেই সবার মনে দাগ ফেলল কি এমনি এমনিই? চলুন জানি তাঁদের কথা।

সুমনা শারমীন, ফিচার সম্পাদক, প্রথম আলো