Thank you for trying Sticky AMP!!

হাতুড়ে ডাক্তারের কেরামতি!

>

আধুনিক যুগেও চলছে সনাতনী পদ্ধতিতে চিকিৎসা! পুরান ঢাকার জজ কোর্টের পেছনে হাতুড়ে চিকিৎসকেরা নিয়মিতভাবে দাঁত তোলা, ফিলিং, স্কেলিং, রেপ্লিকা তৈরিসহ সব ধরনের দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। নষ্ট হওয়া পুরোনো দাঁত তোলা কিংবা নতুন দাঁত লাগানোর খরচ মাত্র ১০০ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভ্রাম্যমাণ হাতুড়ে চিকিৎসক বলেন, ‘আমার দেশের বাড়িতে এক চিকিৎসকের কাছে কাজ শিখেছিলাম। এখানে ভ্রাম্যমাণ ডেন্টাল দোকান দিয়েছি। নয়-দশ বছর হয়ে গেছে। আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও জানি কী কী করতে হয়। আমি গর্ভবতী নারী এবং রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে কাজ করি না। তাই কাজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাও হয় না।’ কোর্ট এলাকায় আসা দরিদ্র-অসহায় লোকেরা স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য এসব কথিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এ ধরনের চিকিৎসা রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু দেখার কেউ নেই। ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা।

কেরানীগঞ্জ থেকে আসা এই ব্যক্তি নষ্ট দাঁত তোলা এবং নতুন দাঁত লাগানো দুই করাবেন। এই হাতুড়ে ডাক্তারের সঙ্গে দরদাম ঠিক করেছেন। খরচ হবে মোট ২০০ টাকা।
আঙুল দিয়ে টেনে দাঁত তোলা হচ্ছে।
রাস্তার পাশের ড্রেনের ওপর পাটাতন দিয়ে দোকান খুলে বসছেন তাঁরা। টেবিলে সাজিয়ে রেখেছেন কিছু পুরোনো যন্ত্রপাতি ও তরলে ভরা কয়েকটি বোতল। দোকানে এইগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে নানা আকারের দাঁত।
দাঁত আটকাতে কৃত্রিমভাবে মাংস তৈরি করবে এই কেমিক্যাল। টাইলসের টুকরায় চলছে তারই মিশ্রণ।
বসানো হচ্ছে নতুন দাঁত।
রাস্তার ওপর দোকান হওয়ায় যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। এর ফলে অপরিষ্কার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের করা হচ্ছে একাধিক রোগীর চিকিৎসায়।
মাড়িতে সেই কেমিক্যালের তৈরি মাংস বসাতে আবার কেমিক্যাল দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসা শেষ। আয়নায় দেখে নিচ্ছেন কেমন হলো নতুন দাঁত। হাতুড়ে ডাক্তারের নির্দেশ, ‘ঘণ্টাখানেক কিছু খাবেন না।’