Thank you for trying Sticky AMP!!

মায়ের হারানো নোলকের খোঁজে

বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিনীত নাটক নোলক–এর একটি দৃশ্য

সচ্ছল পরিবারের সন্তান হৃদিতা মায়ের হারানো নোলক খঁুজে বেড়াচ্ছে। তাঁর কাছে এ নোলকই আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক, মায়ের অতীতের স্মৃতি। পথশিশুদের নিয়ে নোলক খুঁজতে খুঁজতে সে গাইতে শুরু করে ‘আমার সোনার নোলক হারিয়ে গেছে শেষে...’। কিন্তু নোলকের কীই–বা মূল্য হৃদিতার বাবা-মায়ের কাছে! হৃদিতার মা হালিমা বেগম মেয়ের এমন কাণ্ডে অস্বস্তিতে ভোগেন। বিব্রত হন তার ধনী বাবা হাসান শাহরিয়ারও।
হৃদিতার এই অনুসন্ধান যেন একটি জনগোষ্ঠীর আত্মারই অনুসন্ধান। সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহনের দায়ও নিজের কাঁধে নিতে চায় উচ্ছল এই তরুণী। কিন্তু দুই প্রজন্মের মূল্যবোধ দুই রকমের। নোলকের চেয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে সামাজিক সম্মান ও প্রতিপত্তিই শেষ পর্যন্ত মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই টানাপোড়েন নিয়ে এগোতে থাকে নাটক নোলক।
বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ২৩ জুলাই মঞ্চস্থ হয় নাটকটি। শিল্পকলা একাডেমির মূল্যবোধের নাটক নির্মাণ কার্যক্রমের আওতায় মঞ্চস্থ হয় প্রযোজনাটি। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক অ্যান্ড কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াকুব।
শিল্পকলা একাডেমির মূল্যবোধের নাটক নির্মাণ কর্মসূচি চলেছে সারা দেশে। সেসব নাটকের নির্বাচিত কয়েকটি মঞ্চস্থ হবে ঢাকায়। বান্দরবানের নোলকও রয়েছে এই তালিকায়। শিল্পকলা একাডেমির বান্দরবানের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান এই তথ্য।
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে নাটকের মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা, অধ্যক্ষ মেজর দিলীপ কুমার রায় ও শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা জান্নাত আরা যূথী।
নাটকে দেখা যায়, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হাসান শাহরিয়ার সরকারি উচ্চপদে থেকে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন। বিত্তহীন পরিবারের হালিমা বেগমের হালচালও বদলে যায় স্বামীর কারণে। নিজের বাবা-মায়ের দেওয়া নাম বদলে তিনি হন হালিমা ম্যাডাম। হারিয়ে ফেলেন বিয়ের সময় স্বামীর দেওয়া নোলক। মা-বাবার কাছে নোলকের কোনো মূল্য না থাকলেও হৃদিতা তা মেনে নিতে পারেনি। বিদ্রোহী হয়ে সে বাড়ি ছাড়ে।
নাটকে হাসান শাহরিয়ারের চরিত্রে নবম শ্রেণির আহমদ আবতাহী, হালিমা বেগমের চরিত্রে দশম শ্রেণির হুমাইয়রা বীথি, হৃদিতার চরিত্রে নবম শ্রেণির সায়মা রহমানের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।