Thank you for trying Sticky AMP!!

নারীদের নিয়ে কাজ করবেন শিমু

পর্দায় আবারও নিয়মিত হচ্ছেন সুমাইয়া শিমু। ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশনে কাজ করতেন, কিন্তু এখন কর্মহীন ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন—এ রকম নারীদের সহযোগিতায় কাজ করার আগ্রহ আছে অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমুর। সম্প্রতি ‘বেটার ফিউচার ফর ওমেন’ নামে নারী উন্নয়নমূলক একটি সংস্থা চালু করেছেন তিনি।

হঠাৎ এ ধরনের প্রতিষ্ঠান শুরু করার কথা কেন ভেবেছেন অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, পরিচিতি, পড়াশোনা ও গবেষণা মিলিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। সে জন্যই এ প্রতিষ্ঠান গড়েছি। এটি পুরোপুরি একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। এখানে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি শিল্পী পরিচিতির কারণে নারীদের অনেকে আমাকে নিজেদের অনেক সমস্যার কথা অকপটে শেয়ার করেন। আমিও তাঁদের সমস্যা মন দিয়ে শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি।’

সম্প্রতি পিএইচডির গবেষণা শেষ করেছেন শিমু। ‘শিল্প ও আর্থসামাজিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের টেলিপ্লে অভিনয়ে নারীর ভূমিকা’ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ গবেষণা শেষ করেছেন এ অভিনেত্রী। এ কারণে বেশ কিছুদিন অভিনয় থেকে খানিক অবকাশে যেতে হয়েছিল তাঁকে। তবে আবারও নতুন করে অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। এ ছাড়া ‘বেটার ফিউচার কমিউনিকেশন’ নামে একটি যোগাযোগ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানও চালু করেছেন শিমু। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ কী হবে? শিমু বলেন, ‘যোগাযোগের যত ধরন হয়, সব ধরনের কাজ এখানে করা হবে।’

টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীকে এবার ওয়েবেও দেখা যাবে। ছবি: সংগৃহীত

ইতিমধ্যে শুটিং শুরু করেছেন সুমাইয়া শিমু। তানিম পারভেজের পরিচালনায় ‘ঘোলা’ নামের পাঁচ পর্বের একটি ক্রাইম ওয়েব ফিকশনের জন্য কাজ করছেন তিনি। এতে তাঁর সহশিল্পীরা হলেন এফ এস নাঈম, ইয়াশ রোহানসহ অনেকে। তাঁর কাজের তালিকায় আরও আছে ‘তিথির সারা জীবন’ নামে একটা টিভি নাটকও। আসাদুজ্জামান সোহাগের চিত্রনাট্যে এ নাটকটি পরিচালনা করবেন সীমান্ত সজল। শিমু জানান, যেকোনো মূল্যে পর্দায় থাকতে চান তিনি। কেননা অভিনয় করে মানুষের ভালোবাসা যতটা পেয়েছেন, তার তুলনা হয় না। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করেছি অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষকে, বিশেষ করে নারীদের, কোনো না কোনো বার্তা দিতে। সেটা আমি অব্যাহত রাখতে চাই। তা ছাড়া মানুষ আমাকে যতটা ভালোবাসা দিয়েছে, সেটা যদি আমি অন্য কোনো পেশায় থাকতাম তাহলে হয়তো পেতাম না।’

সুমাইয়া শিমু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে বিয়ে করেন সুমাইয়া শিমু। বর নজরুল ইসলাম কাজ করেন একটি বিদেশি সংস্থায়।

অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের কাজগুলো চালিয়ে নিতে চান শিমু। ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৯ সালে ‘এখানে আঁতর পাওয়া যায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে শিমুর টেলিভিশন নাটকে অভিষেক হয়।‘স্বপ্নচূড়া’, ‘এফএনএফ’, ‘হাউসফুল’ ও ‘ললিতা’ নাটকগুলোতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলে তিনি। তাঁর অভিনীত নাটকের তালিকায় আছে ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’, ‘ইডিয়ট’, ‘মন কাঁদে’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসের সরকার’, ‘হ্যালো’, ‘আনন্দ’, ‘সাদা গোলাপ’, ‘শিউলি অথবা রক্তজবার গল্প’, ‘লেক ড্রাইভ লেন’। ২০০৯ সালে ‘স্বপ্নচূড়া’ নাটকের জন্য শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেত্রী হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

গত বছরের আগস্ট মাসে তারিক আনাম খানের স্ত্রী হিসেবে তাঁকে দেখা যায় ‘ওয়াটার’ নামে একটি নাটকে। এখন যথেষ্ট বাছবিচার করেই নাটকে অভিনয় করবেন বলে ঠিক করেছেন শিমু।