Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেলানীকে নিয়ে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গান

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীকে নিয়ে গান তৈরি করলেন প্রখ্যাত গীতিকার-সুরকার-সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
মাহবুবুল এ খালিদের লেখা গানটিতে কণ্ঠ দেবেন চারজন কণ্ঠশিল্পী। এরমধ্যে দিনাত জাহান মুন্নী ও ক্লোজআপ তারকাখ্যাত রাজীব গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। দেশে না থাকায় সামিনা চৌধুরী গানটিতে কণ্ঠ দিতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন বুলবুল। এছাড়া, আরও একজন নবীন শিল্পীরও গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার কথা রয়েছে।

ফেলানীকে নিয়ে গান প্রসঙ্গে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে নিহত ফেলানী হত্যার  বিষয়টিতে দেশের অন্য সবার মতো আমিও ব্যথিত। আমি আমার অবস্থান থেকে চিন্তা করেছি, ফেলানীকে নিয়ে গান তৈরির। এটা চেতনার, বোধের গভীর একটা জায়গা থেকে এসেছে। ফেলানীকে নিয়ে করা গানটি এক ধরনের প্রতিবাদও বলতে পারেন। অনেক দুঃখবোধের জায়গা থেকে এ গানটি করতে হয়েছে।’
বুলবুল এ-ও বলেন, ‘গান যেহেতু মানবকল্যাণের জন্য, তাই ফেলানীর মতো বিষয়ভিত্তিক গান আমাদের তৈরি করা উচিত। এ গানটির কথার মাধ্যমে ফেলানীকে নিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষের অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। আমরা চাই, এমন ঘটনা যেন পৃথিবীর আর কোথাও না ঘটে।’
বুলবুল আরও বলেন, ‘পত্রিকা ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ফেলানীর বিভিন্ন ছবি ও নিউজ কাটিং নিয়ে গানটির একটি ভিডিও বানানো হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে।’
সীমান্তে নিহত ফেলানীকে নিয়ে তৈরি গানটির কথা হচ্ছে ‘ফেলানীকে করল গুলি, ঝুলল কাঁটাতারে/পানির তৃষ্ণায় মরল সে পানি পানি করে/দেখল তার অভাগা বাবা শুধুই ফিরে ফিরে/ফেলানী তোর কে বলে কেউ নাই/এই তো আছি আমরা সবাই শুধু করার কিছু নাই’।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। সত্তরের দশক থেকেই সংগীতশিল্পে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। 

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপাসহ বাংলাদেশি প্রায় সব জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীকে নিয়ে কাজ করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।