Thank you for trying Sticky AMP!!

নিউইয়র্কে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম উৎসব ৬ ডিসেম্বর

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো কবি ও গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্মদিন পালনের আয়োজন করা হবে ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায়। এটির আয়োজন করছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ‘গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার স্মরণ সংসদ, নিউইয়র্ক’। 

অনুষ্ঠানে তাঁর লেখা গান গাইবেন এবং তাঁকে নিয়ে আলোচনা করবেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান ও তাজুল ইমাম।
সংগঠনের আহ্বায়ক মুহম্মদ ফজলুল হক এ সম্পর্কে বলেন, ‘গানের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার যে অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। তাঁর অবদানকে স্মরণ করতে আমাদের এই আয়োজন। আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রতিবছর তাঁকে নিয়ে আয়োজন করার।’
কণ্ঠযোদ্ধা, শহীদ হাসান বলেন, ‘তিনি শুধু একজন ভালো বা জনপ্রিয় গীতিকার বা কবি না তিনি তাঁর গান দিয়ে যুদ্ধের সময় মানুষের মধ্যে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিলেন তা এখনো আমার চোখে ভাসে। আগামী প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে অবহিত করা আমাদের দায়িত্ব।’
সংগঠনের সমন্বয়ক গোপাল সান্যাল বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে। এটি আমাদের প্রথম আয়োজন। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমরা আরও কর্মসূচি গ্রহণ করব।’
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৫ সালে ৫ ডিসেম্বর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে জন্ম নেন। ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট তিনি কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর লেখা ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ ২০০৪ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানে ঠাঁই পেয়েছিল।
মানুষের মুখে মুখে তাঁর লেখা আরও গানের মধ্যে আছে, ‘শোন একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মজিবরের কণ্ঠে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি, আকাশে-বাতাসে ওঠে রণি; বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘মাগো, ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে’, ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি’,‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়, এ কী বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন’, ‘কেন দূরে থাকো শুধু আড়ালে রাখো’, ‘কে তুমি, কে তুমি আমায় ডাকো’, ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো’।