>

কাঁঠালের তুলনায় শক্তিতে দ্বিগুণ লটকন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

অনেকটা আঙুরের মতো দেখতে লটকন একটি সুস্বাদু ফল। এটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতে বেশি হয়।

প্রাচীনকালে এগুলো ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন।

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়, যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

এই ফলে নানা রকম খনিজ উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম উল্লেখযোগ্য।

ক্যানসার প্রতিরোধে:

লটকন ক্যানসার প্রতিরোধে ব্যবহৃত একটি ফলও হতে পারে।

অ্যানিমিয়া রোধে:

আয়রনের স্বল্পতার কারণে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা তৈরি হয় শরীরে। লটকনে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এ কারণে এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

ডিহাইড্রেশন কমায়:

ডিহাইড্রেশন কাটিয়ে উঠতে লটকন ফলের প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে।

পরিপাকতন্ত্রে সাহায্য করে:

লটকনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপাদান পরিপাকতন্ত্রের সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে। এটি যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবারযুক্ত একটি ফল।

রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখুন:

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লটকন ফল বেশ উপকারী। ফলটিতে অতিরিক্ত চিনির উপাদান নেই।

চর্মরোগ নিরাময়:

বাহ্যিক রোগের জন্য, লটকনকে খুব শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। ফলটি বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন চুলকানি, পানু, খোসপাঁচড়া ও দাদ সারাতে সক্ষম।

শরীরের জন্য শক্তির উৎস:

শরীরে শক্তি বাড়াতে লটকন একটি ফল। ফলটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন থাকে, যা খাওয়া হলে শক্তিতে পরিণত হয়।

হাড় সুরক্ষায়:

লটকন ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এ কারণে লটকন হাড় সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ করে:

লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দুই-তিনটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়।

লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম, যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।