আজ বাইশে শ্রাবণ। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈতৃক বাড়িতে তাঁর জীবনাবসান হয়েছিল। তাঁর উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’র দুই নারী চরিত্র লাবণ্য ও কেতকী। ফ্যাশন ও সৌন্দর্য চেতনার দিক থেকে এই দুজনের ভাবনা একেবারেই বিপরীত।
একজনের সাজেপোশাকে বাঙালিয়ানা প্রবল, আরেকজন পশ্চিমা প্রভাবিত। ১০ বছর আগে এই দুই নারী চরিত্রকে বইয়ের পাতা থেকে বাস্তবে তুলে আনে প্রথম আলোর বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘নকশা’।
লাবণ্যের চরিত্রে মডেল নাদিয়া আর কেতকীর চরিত্রে মাশিয়াতকে সাজিয়েছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। ২০১৫ সালের ৫ মে প্রকাশিত হয় ছবিগুলো।
এখানে উল্টিয়ে আঁচড়ানো হয়েছিল লাবণ্যর চুল, আঁটসাঁট করে বাঁধা হয়েছিল খোঁপা।
লাবণ্যর পরনে চাপা সাদা সুতি শাড়ির সঙ্গে কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ। চোখে কাজল আর কপালে ছোট্ট টিপ। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ।
কেতকীর চুল ছিল উঁচু করে বাঁধা, মাঝখানে সিঁথি। চোখে আইলাইনার। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।
কেতকীর হাতে, গলায়, কানে ছিল মুক্তার গয়না। ফিরোজা রঙের জর্জেট শাড়ির সঙ্গে হাতাকাটা ব্লাউজ।
সঙ্গের ব্যাগটিও ছিলো ফ্যাশনেবল।
লাবণ্যর আরেকটি সাজে বেছে নেওয়া হয় বাংলাদেশের গৌরব জামদানি শাড়ি। সঙ্গে লম্বা হাতার ব্লাউজ।
এই পোশাকের সঙ্গে লাবণ্যর মেকআপ ছিল হালকা। চোখে কাজল আর লম্বা বেণির চুল।
কেতকীর দ্বিতীয় সাজটিও ছিল পশ্চিমা ধাঁচের। শাড়ির সঙ্গে বব কাট চুল।
ময়ূরকণ্ঠী কাতান শাড়ি আর হাতাকাটা ব্লাউজের সঙ্গে কেতকীর গলায় ঝুলছিল দুই প্যাঁচের মুক্তার মালা।
হাতের বটুয়াটা এমনভাবে রাখা তাতে ব্যাগ আর গয়না, দুই চাহিদাই পূরণ হয়।
সেই সময় এই দুজনকে সাজাতে গিয়ে কানিজ আলমাস খান বলেছিলেন, ‘এই দুই নারীর জীবনধারা, তখনকার সৌন্দর্যবোধ, উভয়ের সামাজিক ও স্থানিক পরিচয় ইত্যাদি মনে রেখে তাঁদের সাজানোর চেষ্টা করেছি।’
দুই ধারায় বেড়ে ওঠা দুই নারী। যারা ভালোবেসেছিলেন অমিত রায় নামের এক বিলেত ফেরত যুবককে। লাবণ্য ও কেতকীর মধ্যে আপনার কাকে পছন্দ?