৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় একসঙ্গে হাঁটলেন সিমি গারেওয়াল ও শর্মিলা ঠাকুর। প্রথম জনের বয়স ৭৭ বছর আর দ্বিতীয়জন ৮০।
ভূমধ্যসাগরপাড়ে কানের লালগালিচায় সিমি আর শর্মিলা এনেছেন ভিনটেজ পরশ।
শর্মিলা ঠাকুরের পরনে ছিল বটলগ্রিন শাড়ি। অন্যদিকে চেনা সাদা কামিজ আর ম্যাচিং জমকালো শ্রাগে দেখা দিয়েছেন সিমি।
নজর কেড়েছে সি-শেলে তৈরি সিমির গলার নেকলেস। এদিকে শর্মিলার গয়না, সাজ ছিল একেবারেই মিনিমালিস্ট।
ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় প্রবীন এই দুই নারীকে দেখলে মনে হবে যেন বহুদিনের বান্ধবী। অথচ দুজনের রয়েছে তিক্ত এক সম্পর্কের ইতিহাস।
দুজনেই ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক, নবাব মনসুর আলী খান পতৌদির (টাইগার পতৌদি) সঙ্গে প্রেম করেছেন। ছবিতে মনসুর আলীর সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর।
১৯৬৮ সালে শর্মিলা ঠাকুরকে বিয়ে করেন মনসুর আলী খান পতৌদি। এর আগে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে প্রেম করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই তারকা। তবে সেই সম্পর্ক ১৯৬৫ সালেই চুকে যায়।
প্রেম ভাঙার কারণ নিয়ে দুজনের কেউ মুখ না খুললেও একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, সিমির সঙ্গে সম্পর্কে থাকা অবস্থায়ই শর্মিলার প্রেমে পড়েন টাইগার। পরে শর্মিলার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক এগিয়ে নেন।
‘কান ক্ল্যাসিক’ বিভাগে এবার প্রদর্শিত হয়েছে ১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র রেস্টোরড সংস্করণ। বিশেষ সেই প্রদর্শনীতে যোগ দিতেই কানের লালগালিচায় পা রাখেন এই দুই শিল্পী।
সিনেমার এই প্রদর্শনীতে শর্মিলা, সিমিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পরিচালক ওয়েস অ্যান্ডারসন।
শর্মিলা ঠাকুরের পরনের গয়নাগুলো বড় মেয়ে সাবা আলী খান পতৌদির নকশা করা। সাবাও মায়ের সঙ্গে দেখা দিয়েছেন কানের লালগালিচায়।
সিমি আর শর্মিলার মাঝে টাইগার পতৌদিকে নিয়ে পুরোনো তিক্ততা বহু আগেই চুকে গেছে। এমনকি সিমি গারেওয়ালের শোতে অতিথি হিসেবেও গিয়েছিলেন পতৌদি দম্পতি।
সূত্র: ফার্স্টপোস্ট, ছবি: সাবা ও সিমির ইনস্টাগ্রাম থেকে