ঢাকায় ভি এস নাইপল

>গেল সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব ‘ঢাকা লিটারেরি ফেস্টিভ্যাল’-এর ষষ্ঠ পর্ব। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন নোবেলজয়ী ব্রিটিশ লেখক ভি এস নাইপল

ঢাকা লিটারেরি ফেস্টিভ্যালের আয়োজকদের ১৮ মাসের অক্লান্ত চেষ্টায় কদিন আগে এক নোবেলজয়ী লেখকের পদধূলি পড়েছিল আমাদের এই মহানগরে। ১৭ নভেম্বর সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ষষ্ঠ ঢাকা লিট ফেস্টের উদ্বোধন ঘটেছিল ভি এস নাইপলের ফিতা কাটার মধ্য দিয়ে। মিলনায়তন কানায় কানায় ভরে উঠেছিল সম্ভবত তাঁরই কারণে।

কিন্তু প্রায় সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছেন যে পরিব্রাজক, প্রায় প্রতিটি ভ্রমণের ফলে যাঁর হাতে রচিত হয়েছে একটি একটি করে সাড়াজাগানো বই, তিনি বাংলাদেশে এলেন অনেক দেরিতে। অশীতিপর, চলনশক্তিহীন শরীর নিয়ে। লিট ফেস্টের ফিতা কাটলেন হুইলচেয়ারে বসে। হলভর্তি মানুষ যখন তাঁর কথা শোনার জন্য উদ্‌গ্রীব, তখন তিনি বললেন, ‘এখানে আমার হয়ে কিছু বলার জন্য কেউ কি আছে?’

নিশ্চয়ই রসিকতা। এবং হলভর্তি মানুষ তাতে সশব্দে সাড়া দিল।

তারপর বললেন, ‘আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত।’

ওই একটা বাক্যই।

ভি এস নাইপল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ২০ নভেম্বর ২০১৬। ছবি: নাসির আলী মামুন, ফটোজিয়াম
ভি এস নাইপল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ২০ নভেম্বর ২০১৬। ছবি: নাসির আলী মামুন, ফটোজিয়াম

ভারতীয় বংশোদ্ভূত, ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ লেখক স্যার বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপলের বাংলাদেশে আসার ঘটনা কেন আজ থেকে ৩৭ বছর আগেই ঘটেনি—এই প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞাসা করব বলে ভেবেছিলাম, কিন্তু সুযোগ মেলেনি। ১৯৭৯ সালে তিনি ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান—এই চারটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ ভ্রমণ করে একটি বই লিখেছিলেন। অ্যামং দ্য বিলিভার্স: অ্যান ইসলামিক জার্নি নামের সে বই প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে। তাঁর ভ্রমণ-তালিকায় বাংলাদেশ অবশ্যই থাকা উচিত ছিল, কারণ ওই চারটি দেশ তিনি বেছে নিয়েছিলেন ধর্মান্তরিত মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হিসেবে, যে শ্রেণিতে বাংলাদেশ অবশ্যই পড়ে। শুধু তা-ই নয়, ইরান ও মালয়েশিয়ার চেয়ে বাংলাদেশে মুসলমানের সংখ্যা বেশি। অবশ্য বাংলাদেশকে বাদ রাখার একটি কারণ হতে পারে বাংলাদেশের নামের সঙ্গে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ নেই। তা ছাড়া, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান ‘বিসমিল্লাহ’ চালু করলেও ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেননি।
কিন্তু ১৯৯৫ সালে তিনি ওই চারটি দেশ দ্বিতীয়বার ভ্রমণ করেন, এবং আরও লেখেন একটি বই—বিয়োন্ড বিলিফ: ইসলামিক এক্সকারশান্স অ্যামং দ্য কনভার্টেট পিপল। কিন্তু সেবারও তিনি বাংলাদেশকে বাদ রাখেন, যদিও এই সময়ের মধ্যে ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম বলে ঘোষিত হয়েছে।
অনারব বা ধর্মান্তরিত মুসলমানদের নিয়ে লেখা ওই দুটি ভ্রমণকাহিনি নাইপল সম্পর্কে বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি করে। বিয়োন্ড বিলিফ বইতে তিনি লেখেন: ‘মূল ইসলাম একটা আরব ধর্ম। যে ব্যক্তি আরব নন কিন্তু মুসলমান, তিনি একজন ধর্মান্তরিত মানুষ (কনভার্ট)। ইসলাম নিছক বিবেক বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় নয়। এর সাম্রাজ্যবাদী দাবি আছে। ধর্মান্তরিত মানুষের জীবন-জগৎ সম্পর্কে ধারণা বদলে যায়। তার কাছে পবিত্র স্থানগুলো সব আরব ভূমিতে; তার কাছে পবিত্র বা ঐশ্বরিক ভাষা আরবি। তার ইতিহাসের ধারণা বদলে যায়। যা-কিছু তার নিজের, সে তা অস্বীকার করে; সে হয়ে ওঠে আরব আখ্যানের একটা অংশ, সেটা সে পছন্দ করুক বা না করুক। ধর্মান্তরিত মানুষ তার নিজের সমস্ত কিছু থেকে সরে গেছে। ইসলামে ধর্মান্তরিত মানুষের দেশগুলোতে নিউরোসিস ও নিহিলিজমের উপাদান আছে।’

নাইপল মনে করেন, যেসব দেশে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে, সেসব দেশের মানুষের বুদ্ধিনাশ ঘটেছে।

অ্যামং দ্য বিলিভার্স বইতে তিনি বলেন, মুসলমানরা ইউনিভার্সাল সেক্যুলার সিভিলাইজেশনের সুফল ভোগ করছে, কিন্তু যুক্তিবুদ্ধির পথ থেকে সরে যাচ্ছে অন্ধবিশ্বাসের দিকে।

তারও বেশ আগে, ১৯৬২ সালে প্রথমবার ভারত ভ্রমণের পর লেখা অ্যান এরিয়া অবডার্কনেস ১৯৬৪ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তিনি ভারত নিয়ে মোট তিনটি বই লিখেছেন, সেগুলোর কোনোটিই ভারতে প্রশংসিত হয়নি; বরং কঠোর সমালোচনার শিকার হয়েছে। ভারতে তাঁর সমালোচনা শুধু মুসলমানরাই করেননি, অন্য ধর্মের লোকজনও করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, নাইপল ভারতে মুসলমান শাসকদের কৃতি ও অর্জন সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

বিশেষত ভ্রমণকাহিনিগুলোর কারণে নাইপলের এমন এক বিতর্কিত ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়েছিল যে, শোনা গিয়েছিল, নোবেল কমিটি তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার সাহস পাচ্ছিল না। ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাঁকে নিয়ে যে অধিবেশন ছিল, সেটির সঞ্চালক কবি আহসান আকবর বললেন, নাইপলের নাম সম্ভাব্য নোবেলজয়ীদের তালিকায় আসা শুরু করে ১৯৭৩ সাল থেকে। কিন্তু তিনি বলেননি, কেন নাইপলকে পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছিল না। দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০০১ সালে যখন তাঁকে অবশেষে পুরস্কারটা দেওয়া হয়, তখনো অনেকে লিখেছিলেন, নাইপল নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য সাহিত্যিক নন। তাঁর জীবনীকার ব্রুস কিং লিখেছেন, নোবেল কমিটি দুই দশকের বেশি সময় ধরে নাইপলকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে পুরস্কার দিয়েছে, যিনি নাইপলের চেয়ে কম বিতর্কিত, কম দুর্মুখ; তারা প্রতিবার এমন কাউকে খুঁজেছে, যাঁর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা নাইপলের চেয়ে বেশি ‘প্রগতিশীল’।

ঢাকা লিট ফেস্টের উদ্বোধনী পর্বে স্ত্রী নাদিরা নাইপলের ​সঙ্গে। ছবি: খালেদ সরকার
ঢাকা লিট ফেস্টের উদ্বোধনী পর্বে স্ত্রী নাদিরা নাইপলের ​সঙ্গে। ছবি: খালেদ সরকার

আমার মনে পড়ে, নাইপলের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ঢাকায়ও দেখা গিয়েছিল। এই দেশে তিনি অনেকের দৃষ্টিতে প্রতিক্রিয়াশীল মুসলিমবিদ্বেষী, পশ্চিমা উপনিবেশবাদীদের লোক হিসেবে সমালোচিত ছিলেন।
কিন্তু তাঁর যত নিন্দা ও সমালোচনা, সবই তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। কথাশিল্পী হিসেবে তিনি যে অত্যন্ত শক্তিশালী, এই সত্য তাঁর নিন্দুকেরাও স্বীকার না করে পারেন না। নোবেল কমিটি তাঁকে পুরস্কৃত করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল তাঁর ‘ইনকরাপ্টিবল স্ক্রুটিনি অব ওয়ার্কস দ্যাট কমপেল আস টু সি দ্য প্রেজেন্স অব সাপ্রেসড হিস্টরিজ’। তাঁর অধিকাংশ গল্প-উপন্যাসের চরিত্র গরিব, বঞ্চিত মানুষ, ইতিহাসে যারা জায়গা পায় না। তাদের জীবন নাইপল পর্যবেক্ষণ করেছেন নিখাদ সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে। অসাধারণ সততার সঙ্গে বলেছেন তাদের গল্প।
ধারণা করি, ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজকেরা বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেই কথাশিল্পীকেই। তাঁকে দেখার জন্য ও তাঁর কথা শোনার জন্য যে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ছুটে গিয়েছিলেন, তাঁদেরও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কথাশিল্পী ভি এস নাইপল। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা সম্পর্কে একটি কথাও সেখানে উচ্চারিত হয়নি। সেটা এক দিক থেকে ভালো হয়েছে, কারণ নাইপল এসেছিলেন আমাদের অতিথি হয়ে, এমন প্রসঙ্গ তোলা ঠিক হতো না যা তাঁকে বিব্রত করতে পারত। তা ছাড়া, তাঁর বয়স হয়েছে ৮৪ বছর, পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন। আমরা তাঁর সমালোচনার দিকগুলো উহ্য রেখে বিবেচকের কাজই করেছি।
নাইপলকে নিয়ে উৎসবের একমাত্র অধিবেশনটি ছিল দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায়। একই মিলনায়তনে উদ্বোধনী অধিবেশনের চেয়েও বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল তখন; মেঝেতেও বসে পড়েছিলেন অনেকে।
বাংলাদেশের কবি আহসান আকবর, যিনি লেখেন ইংরেজিতে, পরিচালনা করছিলেন ওই অধিবেশন। আয়োজনটি ছিল কথোপকথনের, কিন্তু নাইপলের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তিনি হুইলচেয়ারে বসে ছিলেন, তাঁর কপালে ও ভুরুতে ছিল সেই কোঁচকানো অভিব্যক্তি, যা উদ্বোধনী অধিবেশনেও লক্ষ করেছি। আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিল, ওই অভিব্যক্তি তাঁর সারা জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞানের নির্যাস কি না।
দারিদ্র্য তাঁর পূর্বপুরুষকে দেশান্তর করেছে; তাঁর মাতামহ ভারত ছেড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় গিয়েছিলেন সেখানকার আখ চাষের মজুর হিসেবে উনিশ শতকের আশির দশকে। সেখানে নাইপল জন্মেছেন বটে, কিন্তু ত্রিনিদাদকে তিনি নিজের দেশ হিসেবে মন থেকে গ্রহণ করেননি। বয়স ১৪ না পেরোতেই পণ করেছেন, ওই দেশ ছাড়বেন। তাঁর বাবা ছিলেন সাংবাদিক, গল্পও লিখতেন। পড়াশোনায় ভালো ছিলেন নাইপল। ১৮ বছর বয়সে সরকারি বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করতে যান অক্সফোর্ডে। তারপর তিনি ত্রিনিদাদে গেছেন বেড়াতে; নিজের দেশ করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডকে।

আহসান আকবর নাইপলের জীবনকাহিনির কিছুটা আমাদের শোনালেন; তারপর চেষ্টা করলেন তাঁর স্মৃতি জাগানোর। কিন্তু অশীতিপর লেখকের সঙ্গে স্মৃতি লুকোচুরি খেলছিল। ধরা দিচ্ছিল টুকরো টুকরো হয়ে। আহসানের উপর্যুপরি উসকানিতে তাঁর মনে পড়ল যে তিনি লেখক হবেন জানতেন, কিন্তু কী লিখতে হবে তা জানতেন না। লেখার বিষয় খুঁজে পাওয়াই ছিল প্রথম সমস্যা। এই কথা বলতে গিয়ে তিনি লন্ডনে বিবিসির ফ্রিল্যান্সারদের কক্ষের কথা বললেন। কিছু একটা না লেখা পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে বের হবেন না—এ রকম পণ করেছিলেন একদিন। সেই থেকে লেখা হয়েছিল মিগেল স্ট্রিট গল্পলহরির গল্পগুলো। ত্রিনিদাদের প্রেক্ষাপটে কল্পিত এক শহরের গরিব লোকজনের গল্প।

নাইপল বললেন, লেখার কাজ খুব কষ্টকর, যন্ত্রণাদায়ক। উদ্বেগে ভরা। সারা জীবন ধরে তিনি এই উদ্বেগে ভুগেছেন। বোঝা যায়, কেন তাঁর লেখা এমন নিখুঁত ও সুন্দর। তাঁকে বলা হয় ‘ওয়ান অব ফাইনেস্ট লিভিং নভেলিস্টস ইন ইংলিশ’।

আহসান তাঁকে জিগ্যেস করলেন, কী করে তিনি এত সুন্দর লেখেন। উত্তরে নাইপল মৃদু হেসে বলেন, ‘আমার মন কীভাবে কাজ করে, তা যদি আমি জানতাম, তাহলে এ নিয়ে একটা বইই লিখে ফেলা যেত।’

অক্লান্ত পরিশ্রমী লেখক নাইপল। চূড়ান্ত মাত্রায় খুঁতখুঁতেও। যখন তিনি লিখতেন, তখন পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যেতেন। লেডি নাইপল বললেন তাঁর পোষা বিড়াল অগাস্টাসের কথা। ওই একটা প্রাণীই পারত তাঁর লেখা থামাতে।

আহসান আকবর নাইপলকে তাঁর সবচেয়ে প্রশংসিত উপন্যাস হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস লেখার অভিজ্ঞতার কথা বলার অনুরোধ করলেন, তিনি বললেন, ‘দ্য ওয়াজ আ বিগ বুক’। এর পাণ্ডুলিপি হয়েছিল ঢাউস।

লেডি নাইপল জানালেন, এই উপন্যাস লেখা শেষ করে লেখক ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ভেনিসে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁর মনে পড়ে যায় যে পাণ্ডুলিপিটি তিনি রেখে এসেছেন রান্নাঘরে। ইফ দিয়ার ইজ আ ফায়ার, যদি আগুন লেগে যায়—এই উদ্বেগে তাঁর পুরো অবকাশই পণ্ড হয়েছিল।

আমাদের সৌভাগ্য যে আগুন লাগেনি। হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস ১৯৬১ সালে ছাপা হয়েছে। এই উপন্যাসই তাঁকে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা এনে দিয়েছে।

বাংলাদেশে আসার প্রসঙ্গে যখন কথা উঠল, তখন লেডি নাইপল বললেন, এ ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা আছে। আর তিনি ভূমিকাটা পালন করেছেন এ জন্য যে, তাঁর মধ্যে একটুখানি বাংলা আছে। ১৩-১৪ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় ছিলেন, মাওলানা ভাষানীর মিছিল-জনসভা দেখেছেন। সে সময়ের অনেক স্মৃতি তাঁর মনে এখনো উজ্জ্বল রয়েছে। তিনি নাইপলকে বলেছেন, ‘ভিদিয়া, তোমার অবশ্যই বাংলাদেশে যাওয়া উচিত।’

লেডি নাইপলকে ধন্যবাদ: এমন বড় মাপের একজন কথাশিল্পীকে আমরা অবশেষে এ শহরে পেলাম। ধন্যবাদ ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজকদেরও।