বাবার জন্য চিনি

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই বাবা মিষ্টির খোঁজ করে। এদিকে গতকাল খালাতো বোন মিথি বাসার সব মিষ্টি খেয়ে ফেলেছে। আর তো মিষ্টি নেই। তখন মা ও আমি বাজার থেকে এক কেজি মিষ্টি কিনে আনলাম। এক দিনেই বাবা অর্ধেক মিষ্টি সাবাড় করে ফেলল। এদিকে আবার বাবার সুগারও বেড়ে যাচ্ছে।

কানুদাকে বলে মিষ্টি আনালাম। সেই মিষ্টিও শেষ হয়ে গেল। এভাবেই চলল এক সপ্তাহ। কেউ তো আর বাজারে যেতে চায় না। একদিন স্কুলে বিজ্ঞান ক্লাসে বসে আছি। ম্যাডাম তখন ‘খাদ্য’ অধ্যায়টা পড়াচ্ছিলেন। ম্যাডাম বললেন, ‘১ কেজি চিনিতে হয় ৬টা জিলাপি।’ আমার মাথায় সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধি এল, বাবার জন্য বরং জিলাপি নিয়ে যাই। স্কুল থেকে ফেরার পথে ১ কেজি জিলাপি কিনে আনলাম। সেটা হলো আরেক যন্ত্রণা। মিষ্টির চেয়ে জিলাপি বাবার আরও ভালো লাগল। সব এক দিনেই শেষ! মহা মুশকিল!

এরপর ছোট মামা হিমু বললেন, চিনি দিয়ে যখন জিলাপি তৈরি হয়, তখন বাবার জন্য নাহয় চিনিই আনো। আনলাম চিনি। আর বাবাকে শর্ত দিলাম, চিনি খেতে হবে এক দানা করে। বাবা খাওয়া শুরু করল। কিন্তু এক দানা করে চিনি খেলে সেই চিনি তো এক মাসেও শেষ হয় না! ব্যস, এই বুদ্ধি দিয়েই বাবার মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিলাম।

তৃতীয় শ্রেণি, নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়