পাখির ছবি

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

আমি যখন পাখির ছবি আঁকতে বসি ঘরে

পাখিরা গায় আনন্দে গান দূরে বালুচরে।
একটি পাখি গাছের ডালে উড়ে এসে বসে
পাতার ফাঁকে নরম রোদে নিজের পালক ঘষে।
উঠানজুড়ে চড়ুই পাখি নাচে দুপা তুলে
ফিঙে নাচে একটু দূরে শিমের মাচায় ঝুলে।

আমি যখন পাখির ঠোঁটে খড়ের ছবি আঁকি
গাঙ থেকে বক উঠে নিজের পালকে দেয় ঝাঁকি।
ঠোঁট বাড়িয়ে বলে ঠোঁটে মাছের ছবি আঁকো
বাড়ির পাশে নদী আঁকো, আঁকো নদীর বাঁকও।

আমি যখন হাত বাড়িয়ে রং তুলি নিই হাতে
লম্বা সারস চোখের সামনে সাদা পালক পাতে।
বলে—আমার ছবি যদি আঁকতে পারো তুমি
ছবির পাশে এঁকো একটি বিশাল জলাভূমি।
জলাভূমি জুড়ে কিছু মাছের ছবি এঁকো
ছবির নিচে লিখে দিয়ো ‘পাখিরা মাছখেকো’।

যখন পাখির ঠ্যাং আঁকি ব্যাঙ বলে—একটু ভাবো
আমার অনেক ইচ্ছা আমি পাখির দলে যাব।
ভাল্লাগে না জলের ডোবা, ভাল্লাগে না নদী
পাখির মতো উড়ব আমার পাখা আঁকো যদি।

ব্যাঙের পিঠে আঁচড় টেনে এঁকে দিলাম পাখা
পাখিরা কয় শিল্পী তুমি খামাখা খামাখা।