বাংলাদেশে ইংরেজি 'আয়েশামঙ্গল'

‘দ্য ব্যালাড অব আয়েশা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) আনিসুল হক, শামসুজ্জামান খান, সায়ান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান নূর ও কামাল চৌধুরী। গতকাল বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে।  ছবি: প্রথম আলো
‘দ্য ব্যালাড অব আয়েশা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) আনিসুল হক, শামসুজ্জামান খান, সায়ান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান নূর ও কামাল চৌধুরী। গতকাল বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে। ছবি: প্রথম আলো

রংপুরের আয়েশার গল্প পৌঁছে গেছে বিশ্ববাসীর বইয়ের তাকে। বাংলাদেশের ঔপন্যাসিক আনিসুল হকের আয়েশামঙ্গল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হারপার কলিনস থেকে। অনূদিত বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন হলো ঢাকায়।
গতকাল বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে ছিল দ্য ব্যালাড অব আয়েশার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ‘আমাদের লেখকদের সৃষ্টিকর্ম মানের দিক থেকে কোনো অংশেই এখনকার আন্তর্জাতিক লেখকদের থেকে কম নয়। তাঁদের লেখা বেশি করে অনুবাদ হওয়া প্রয়োজন। আনিস আজ সেই দরজাটা খুলে দিল।’
কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রহণ করার জন্য পশ্চিম আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই হাতে কিছু তুলে দিতে পারলে বিশ্ব হয়তো আমাদের মাথায় তুলে রাখতেও পারে।’
১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ঘটে যাওয়া রহস্যময় ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক পরিবারকে নিয়ে বইটির কাহিনি। নিজের উপন্যাসের সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন আনিসুল হক। ঘটনার ২০ বছর পর তিনি লেখেন আয়েশামঙ্গল। তারও ২০ বছর পর সেটি প্রকাশিত হলো ইংরেজিতে। অনুবাদ করেছেন লেখক-সাংবাদিক ইনাম আহমেদ।
আনিসুল হক বলেন, ‘অনুবাদটি মূল উপন্যাসের থেকেও পরিশুদ্ধ হয়েছে। কাহিনি নিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় আয়েশা নামের একটি টেলিছবি ঈদে দেখা যাবে চ্যানেল আইতে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কবি কামাল চৌধুরী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রমুখ। গান শোনান শিল্পী সায়ান। উপস্থাপনা করেন শিল্পী এলিটা করিম।