'টোকাইয়ের মাধ্যমে চারপাশের বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি'

বাংলাদেশের অগ্রগণ্য শিল্পী রফিকুন নবী। রনবী নাম নিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন কার্টুনিস্ট হিসেবেও। ‘টোকাই’ তাঁর অমর সৃষ্টি, যার শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। টোকাইয়ের ৪০ বছরে রফিকুন নবীর সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহফুজ রহমান
ছবি: খালেদ সরকার
ছবি: খালেদ সরকার

মাহফুজ রহমান: ‘টোকাই’ প্রকাশের ৪০ বছর হলো। শুরুতে টোকাইয়ের বয়স ছিল ৮-৯ বছর। এখনো কি টোকাইয়ের বয়স সে রকমই আছে?

রফিকুন নবী: কার্টুনিস্ট যদি ভাবেন যে তাঁর বয়স বাড়ার সঙ্গে চরিত্রের বয়সও বাড়াবেন, সেটা হতে পারে। তবে স্ট্রিপ কার্টুনের বেলায় মজা হলো, একই চরিত্র বছরের পর বছর একই বয়সে থাকতে পারে। ফলে টোকাইয়ের বয়স আমি বাড়াতে চাই না।

মাহফুজ: মার্কিন কার্টুনিস্ট চার্লস এম শ্যুলজের চার্লি ব্রাউন থেকে আপনি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। সেই চরিত্রটির বয়সও বাড়েনি।

রফিকুন নবী: হ্যাঁ, চার্লি ব্রাউন কিংবা ডেনিস দ্য মিনেসের মতো চরিত্রগুলো কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে জনপ্রিয়। একটা কার্টুন চরিত্র নির্দিষ্ট কিছু বয়সের পাঠকের জন্যই বানানো হয়। সেক্ষেত্রে ওই বয়সের পাঠক সব সময় থাকে। তাই কার্টুন চরিত্রগুলোর বয়স না বাড়ালেও ওই নির্দিষ্ট পাঠকগোষ্ঠীর কাছে সব সময়ই জনপ্রিয় হয়। টোকাইকে কেবল শিশু-কিশোরই নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছি সব সময়। টোকাই রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক নানা রকম বিষয় বা সমস্যা নিয়ে বারবার কথা বলেছে।

মাহফুজ: এক বছর পূর্তিতে টোকাই বলেছিল, ‘সব সমস্যাই তো একই রকম আছে...’। এই ৪০ বছরেও সামাজিক সমস্যাগুলো একই রকম আছে...

রফিকুন নবী: হ্যাঁ, সমস্যার ব্যাপকতা বেড়েছে শুধু। একটা সময় দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অনেক বেশি ভোগান্তি শুরু হয়, তখন টোকাই কথা বলেছে। সে সময় আমি অফিসের কাজে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে দেখি, একটা হাইস্কুলে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। স্কুলটির চারপাশের গাছে মাইক বসানো। মাইকগুলো স্কুলের দিকে মুখ করে রাখা। মাইকে বলা হচ্ছে-‘২ নং প্রশ্নের উত্তর লেখো। উত্তরটি হবে...’। আমি স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, কী হচ্ছে এখানে? তাঁরা জানালেন, পরীক্ষার জন্য নাকি প্রতিবারই এমন আয়োজন করা হয়। তবে এখন তো মাইকের প্রয়োজন পড়ে না। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই পরীক্ষার আগ দিয়ে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ছে।

রনবীর আঁকা বিভিন্ন সময়ের টোকাই
রনবীর আঁকা বিভিন্ন সময়ের টোকাই

মাহফুজ: টোকাইয়ের শুরু কীভাবে হয়েছিল?

রফিকুন নবী: সেটা ১৯৭৬ সালের শেষ দিকের কথা। আমি তখন সদ্যই গ্রিস থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসেছি। আসার পরপরই ঠিক করেছিলাম যে আর কার্টুন আঁকব না। ষাটের দশকে আমি কিছু ম্যাগাজিনে কার্টুন আঁকতাম। তবে আবার কার্টুন শুরু করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমি তখন শুধু চিত্রকলা—যেটা আমার আসল জায়গা—সেটা নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করছিলাম। ১৯৭৭ সালের একদম শেষ দিকে, সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকাটি তখন বেশ উঠতির দিকে। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিল আমার ছোটবেলার বন্ধু শাহাদত চৌধুরী। তো, সে বিচিত্রার্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাকে একটা কার্টুন এঁকে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে লাগল। ওর অনুরোধের চাপে আমি টোকাইয়ের প্রথম স্ট্রিপটি আঁকলাম। চরিত্রটির বয়স ৮-৯ বছর। নির্মল চেহারার একটি ছেলে, পেটফোলা—দেখলে মনে হয় অপুষ্টিতে ভুগছে। আস্তাকুঁড়ের কাছাকাছি বা ফুটপাতে থাকে। ওই প্রথম কার্টুনটি করার পর এটা এত জনপ্রিয় হয় যে নিয়মিতভাবে এই কার্টুন করার জন্য চাপ এল।

মাহফুজ:টোকাইয়ের মতো দুটি সত্যিকারের চরিত্রের সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছিল। সেটা ১৯৬৮-৬৯ এবং ১৯৭৬-৭৭ সালের কথা...

রফিকুন নবী: হ্যাঁ, পুরান ঢাকার নারিন্দায় আমাদের বাসার বারান্দা থেকে একটা বাচ্চা ছেলেকে দেখতাম। বয়স ৬-৭ হবে। পেটমোটা, মাথাটা ন্যাড়া। মাটিতে গড়াগড়ি দেয়। চেক লুঙ্গি পরে, লুঙ্গিটা ঠিকমতো বাঁধতেও পারে না। মনের খেয়ালে মাঝেমধ্যে গানটানও করে। আমি ওকে ডেকে কথা বলতাম। বেশ খাতির হয়ে গিয়েছিল। টোকাই আঁকার সময় ওর কথা মনে পড়ে গেল। চরিত্রটা আঁকার আগে অনেকগুলো খসড়া করেছিলাম। শেষমেশ খুব সাধারণ, লুঙ্গি পরা, ন্যাড়া মাথার একটা ছেলেকেই আঁকলাম।

রফিকুন নবী টোকাই আঁকতেন ক্রো কুইল পেন আর চায়নিজ ইঙ্ক দিয়ে
রফিকুন নবী টোকাই আঁকতেন ক্রো কুইল পেন আর চায়নিজ ইঙ্ক দিয়ে

মাহফুজ: ‘টোকাই’ নামটা কীভাবে ঠিক করলেন?

রফিকুন নবী: শাহাদত বলল, ধারাবাহিক যেহেতু করতে হবে সেহেতু এটার একটা নাম দাও। টোকন, টোকামিয়া, টগর, টুকু—এ রকম অনেক নাম মাথায় আসে। প্রায় ২০টি নাম খাতায় লিখি। কিন্তু সব নাম ছাপিয়ে ‘ট’-বর্গের নামগুলোর বাইরে আমার চোখ সরাতে পারিনি। শেষ অব্দি একটি নাম ঠিক হলো—‘টোকাইনা’। কিন্তু সে নামও আমার চাওয়ার সঙ্গে মিলল না। তখন আচমকা ‘টোকাইনা’থেকে ‘না’বাদ দিলাম। দেখি, বেশ ভালো লাগছে। শুনতেও ভালো লাগে। আমার স্ত্রীকে নামটা বললাম। সে-ও পছন্দ করল। তারপর থেকেই টোকাই।

মাহফুজ: সেই ‘টোকাই’ শব্দটি পরে অভিধানেও যুক্ত হলো...

রফিকুন নবী: সে সময় দেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি একবার এক সভায় বলেছিলেন, ‘রনবীকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন আর টোকাই নাম দিয়ে এ ধরনের কার্টুন না আঁকেন। এরা আসলে “পথকলি”। টোকাই ডাকা এদের জন্য অবমাননা।’ আমি অবশ্য সেটা মানতে পারিনি। বেশ মজার ব্যাপার হলো, টোকাই কী বলছে না-বলছে সেটা একটা দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তির চিন্তার বিষয় ছিল। তবে ‘টোকাই’ শব্দটিকে আমি নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করিনি। টোকাই মানে কাগজ কুড়ানো। কিন্তু সাধারণ মানুষ পথশিশুদের টোকাই বলে ডাকতে শুরু করে। আসলে ভালো লাগা থেকেই শব্দটা জনপ্রিয় হয়েছে। প্রথম টোকাই ছাপা হওয়ার পরপরই খুব ভালো সাড়া পেয়েছিলাম।

মাহফুজ: টোকাইয়ের মাথায় একটি চুল কম আঁকলেও নাকি পাঠকের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতো আপনাকে...

রফিকুন নবী: সে সময় টোকাই আমার চেয়েও বেশি বিখ্যাত!কেবল চুলই নয়, টোকাইয়ের যেকোনো পরিবর্তনে পাঠকের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতো। একবার লুঙ্গির বদলে প্যান্ট পরিয়েছিলাম টোকাইকে, পাঠক বলল, ‘না, এটা ঠিক হয়নি, লুঙ্গিটাই ঠিক আছে।’ আমিও মেনে নিয়েছিলাম। পাঠকের পরামর্শগুলো আমি মেনে নিতাম।



মাহফুজ:
টোকাই প্রসঙ্গে পাঠকের সঙ্গে বিশেষ স্মৃতি নিশ্চয়ই অনেক আছে আপনার...
রফিকুন নবী: একদিন এক ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘টোকাই কার্টুনগুলোর লেখা তো আপনিই লেখেন। আর যিনি আঁকেন—রনবী, তাঁর সঙ্গে একদিন পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন?’ আমি তাঁকে বললাম, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।’ ভদ্রলোক বেশ কিছু সময় পর গোটা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন। এই সমস্যা অবশ্য এখনো আছে। মানুষ সহজে এই দুটো নাম মেলাতে পারে না।

মাহফুজ: চিত্রশিল্পী আর কার্টুনিস্ট—একই সঙ্গে এই দুই পরিচয় কীভাবে নিতেন আপনি?
রফিকুন নবী: দুটি পরিচয়ই একে-অপরের পরিপূরক। কার্টুন আঁকতে গেলেও শিল্পের দরকার হয়। তেমনই শিল্পের জন্য কার্টুনেও অনেক খোরাক পাওয়া যায়। আর টোকাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্টুনের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছে মানুষের মতকে। তাই কার্টুনিস্ট বা চিত্রশিল্পী যা-ই বলা হোক না কেন, দিন শেষে আমি কী বলতে চাইছি সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি টোকাইয়ের মাধ্যমে আমাদের চারপাশের আর্থসামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। সব সময় চেষ্টা করেছি, টোকাই দিয়ে শুধু হাসি নয়, বরং মানুষের মাঝে যেন ছোট ছোট বিষয়গুলোতেও সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।

মাহফুজ: টোকাই ‘ছোট মুখে বড় কথা’ বলত, জনপ্রিয়তার পেছনে এটার ভূমিকা নিশ্চয়ই বিশাল ছিল...
রফিকুন নবী: হ্যাঁ, সাধারণ মানুষের কথার পাশাপাশি কাক, ছাগল, গরু কিংবা মশার মতো প্রাণীদের সঙ্গেও টোকাই কথা বলেছে। একবার কোরবানির ঈদের পর একটা স্ট্রিপ আঁকলাম। একটা হাড়–জিরজিরে গরু টোকাইকে বলছে, ‘আমি বাঁইচা গেছি!’ টোকাইয়ের মন্তব্য, ‘খুব ভালো করছস। অহন আমাগো মতন আধমরা হইয়া থাক।’ পাঠক খুব পছন্দ করেছিল সেটা। প্রতি সপ্তাহে চিঠির পরিমাণ দেখে আমরা বুঝতাম এ সপ্তাহের টোকাই ভালো হয়েছে নাকি মন্দ।

মাহফুজ: টোকাইয়ের বিষয় কীভাবে বাছাই করতেন? আঁকতেন কোন মাধ্যমে?

রফিকুন নবী: প্রতিদিনের কাজের মধ্যেই মাথায় চিন্তা চলত টোকাইয়ের বিষয় নিয়ে। বিজ্ঞান, দর্শন থেকে শুরু করে নিত্যদিনের জীবনের নানা রকম বিষয় সহজ করে টোকাইকে দিয়ে বলাতাম। আঁকার জন্য ব্যবহার করতাম ক্রো কুইল পেন আর চাইনিজ ইঙ্ক। মাঝেমধ্যে সময়মতো টোকাই পাঠাতে না পারলে বিচিত্রা অফিসে বসেই আঁকতাম। দাওয়াতপত্র থেকে শুরু করে খুচরা কাগজেও অনেক সময় আঁকতে হয়েছে। অনেক সময় আবার সরাসরি সেলোফিন পেপারের ওপরেও আঁকতে হয়েছে। এ রকমভাবে আঁকলে সঙ্গের লেখাটা উল্টো করে লিখতে হতো! এরশাদের যখন পতন হলো, তখন আমি মতিঝিলে। সেখানে মানুষের ভিড়ে বসে টোকাই এঁকেছিলাম। সেটা দিয়েই বিচিত্রার বিশেষ বুলেটিনের প্রচ্ছদ হয়েছিল।

মাহফুজ: ১৯৯৬ সালে বিচিত্রা বন্ধ হওয়ার পর ২০০০ থেকে সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় টোকাই আঁকতে শুরু করেন। কিন্তু একসময় সেটা বন্ধ হলো কী কারণে?

রফিকুন নবী: আমি অনেক দিন জানতাম না যে টোকাই ছাপানো হচ্ছে না! আমি নিয়মিত পাঠাতাম,পত্রিকার কপি বাসায় আসত না বলে আমার জানাও হতো না। হঠাৎ একদিন চোখে পড়ায় খোঁজ করি। ওরা জানায়, অনেক দিন ধরেই টোকাই ছাপানো হচ্ছে না। তারপর থেকে আর আঁকা হয়নি। টোকাই যে সাসপেন্স রেখে বন্ধ হয়েছে সেটা মানুষের মধ্যে থাকুক। তবে সমস্যাগুলো যেহেতু এখনো সেভাবে বদলায়নি, তাই টোকাই নতুন চিন্তার খোরাক হবে কি না কে জানে! মাঝেমধ্যে কারও কারও অনুরোধে এক-আধটা এঁকে দিই। কলকাতায় টোকাই নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে, একটা প্রদর্শনীও করেছিলাম টোকাই নিয়ে। তবে আর কখনো যে টোকাই আঁকব না, এমনও কিন্তু নয়।

টোকাইয়ের টুকিটাকি

l টোকাই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালের ১৭ মে, সাপ্তাহিক বিচিত্রায়।

l টোকাই নামটি দিয়েছিলেন রফিকুন নবী নিজেই। শুরুতে ভেবেছিলেন ‘টোকাইনা’, পরে ‘না’ বাদ দিয়ে রেখে দেন ‘টোকাই’। শব্দটি পরে অভিধানেও যুক্ত হয়।

l টোকাইয়ের বয়স আট–নয় বছর। বয়সটা এখনো এক জায়গাতেই থেমে আছে।

l সারা বিশ্বই তার ঘরবাড়ি। কখনো সে থাকে পয়োনিষ্কাশনের কংক্রিটের পাইপে, কখনো বড় মুখ–খোলা ডাস্টবিনে, ঠেলাগাড়িতে কিংবা পার্কের বেঞ্চে।

l টোকাই কেবল মানুষ নয়, কথা বলেছে কাক, কুকুর, গরু, ছাগল, মশা ও কাকতাড়ুয়ার সঙ্গেও।

l শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা—বছরের ১২ মাসই টোকাইয়ের পোশাক বলতে ওই একটা লুঙ্গি। রনবী একবার প্যান্ট পরিয়েছিলেন, পাঠক লুঙ্গিটাই পছন্দ করেছে। এ ছাড়া নির্বাচনের মৌসুমে একবার শার্টও পরেছিল টোকাই। শার্টটা এতই বড় ছিল যে সে বলেছিল, ‘ভোটে পাইছি। তয় সাইজ দেইখা মনে হয় ম্যালা ভোট পার করতে পারমু।’

l পাঠকের অনুরোধে রনবী একবার টোকাইকে গ্রামেও নিয়ে গিয়েছিলেন। েস সময় গ্রামের জীবন, রাজনীতি, পরিবেশ, প্রকৃতি—এসবই উঠে এসেছিল টোকাইয়ের জবানে।

l মোটাদাগে আটটি বিষয়ে কথা বলেছে টোকাই। সেগুলো হলো পরিবেশ, রাজনীতি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, সামাজিক মাৎস্যন্যায়, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং টোকাইয়ের নিজস্ব বৃত্তান্ত।

l ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে টোকাই ছাপা হতো সাপ্তাহিক বিচিত্রা। ১৯৯৬ সালে বিচিত্রা বন্ধ হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে সাপ্তাহিক ২০০০-এ আবারটোকাই আঁকতে শুরু করেন রনবী। সেখানে টোকাই সর্বশেষ ছাপা হয় ২০০৪ সালে।

l টোকাইয়ের ২৫ বছর পূর্তিতে গ্যালারি চিত্রকে রনবীর একক প্রদর্শনী হয় ২০০৪ সালে।

l টোকাই নিয়ে টোকাই একটোকাই দুই নামে দুটি বই প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে, প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা থেকে। বই দুটিতে ২৪০টি কার্টুন স্থান পায়। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত মোট টোকাইয়ের সংখ্যা যে ঠিক কত, তা রনবী নিজেও জানেন না।

l টোকাই আঁকার আগেও ষাটের দশক থেকে কার্টুন আঁকতে শুরু করেন রনবী। তবে টোকাইয়ের মতো স্ট্রিপ কার্টুন আঁকার কোনো অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না।