বেয়ারা বনাম মুজতবা আলী

সৈয়দ মুজতবা আলী অলংকরণ: তুলি
সৈয়দ মুজতবা আলী অলংকরণ: তুলি

সৈয়দ মুজতবা আলী তখন দিল্লিতে এক সরকারি দপ্তরে কর্মরত। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কী এক কাজে এসেছেন সেখানে। মুজতবা আলী তরুণ সতীর্থ কবিকে পাকড়াও করে নিয়ে গেলেন দিল্লির এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় চা পান করতে। সেখানকার বেয়ারারা অনেকটা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সঙ্গে ও বেয়াড়া ভঙ্গিতেই তাঁদের চা পরিবেশন করল। বিল এল মাত্র এক টাকা। তবে প্রস্থানের আগে মুজতবা আলী বেয়ারাদের হাতে দশ টাকা বকশিশ ধরিয়ে দিলেন। এতে তাদের তো চক্ষু চড়কগাছ! পরে আরেক দিন দুজনে মিলে একই রেস্তোরাঁয় এসে রীতিমতো ভূরিভোজ করলেন। পোলাও, মাংস, কালিয়া—কিচ্ছু বাদ গেল না। বেয়ারারা গত দিনের বকশিশের কথা মাথায় রেখে এবার তাঁদের যারপরনাই সমাদর করল। কিন্তু এবার বিল পরিশোধের সময় মুজতবা আলী বকশিশ দিলেন একটিমাত্র সিকি। তিনি বললেন, ‘আজকের যে বকশিশ, সেটা গত দিনের জন্য, আর গত দিন যে বকশিশ দিয়েছি, সেটা আজকের জন্য!’

সূত্র: নূরুর রহমান খানের সৈয়দ মুজতবা আলী: জীবনকথা