'রাইফেল রোটি আওরাত' থেকে

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

রোববারে সকালে গোপনে কয়েকজন সাংবাদিক সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে শহরের অবস্থা দেখতে বেরিয়েছিলেন। তাঁরাই শিল্পী আমনকে উদ্ধার করেন। অতঃপর হাসপাতালে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সংজ্ঞা ফিরেছে, কিন্তু মনের স্বাভাবিকতা ফেরেনি। একসময় কখন তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসেছেন কেউ তা টের পায়নি। এখন তিনি পথে পথে মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে উঠছেন, হাম গোলি করে গা, গোলি খায়ে গা।

আমার ছেলেমেয়েদের তোমরা গুলি করেছ, আমিও তোমাদের গুলি করব; আমার ছেলেমেয়েরা গুলি খেয়েছে, আমিও গুলি খাব, আমাকেও তোমরা গুলি কর—এসব কথা কি পাগলের কথা? তবু এখন শিল্পী আমনকে সবাই পাগল ঠাওরাচ্ছে এবং এড়িয়ে চলছে।

অবশ্যই আমনের সব ইতিবৃত্ত সুদীপ্ত জানতেন না। কেবল তাঁর মনে হচ্ছিল, সত্যই একটা সাংঘাতিক কিছু ভদ্রলোকের জীবনে ঘটেছে, যে কারণে তিনি এমন ভারসাম্য হারিয়েছেন আজ। কী সেটা? যা–ই হোক, সে নিয়ে কিছু ভাবার সময় এখন নেই। এখন কিছু করতে হয়। কিন্তু কী করা যায়! সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যাওয়া যায়। বাসায়? তিনি এখন যেখানে আছেন সেখানে? সেখানে পথের পাগল নিয়ে ওঠাবেন। কেন ওঠাবেন না। আমনের মতো চিত্রশিল্পী কি কোনো দেশে দলে দলে গজায়? তা ছাড়াও তিনি একজন মানুষ তো। বিপদের সময় মানুষের জন্য তো মানুষকেই এগোতে হয়। সুদীপ্ত আমনের একখানি হাত ধরলেন—

‘আপনি চলুন আমার সঙ্গে। আমি আপনাকে দেব গুলি খেতে।’

‘তোম উল্লু হ্যায়। তোমহারা সঙ্গে মে গুলি নেহি হ্যায়।’

গুলি যাদের সঙ্গে থাকে শহরে তাদের অভাব ছিল। চারদিকে নল উঁচিয়ে কত গাড়িই তো যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ই একটা যাচ্ছিল পাশের পথ দিয়ে। সহসা আমন সুদীপ্তকে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন এবং দুহাত তুলে চিৎকার করে উঠলেন—

‘হাম গোলি করে গা। গোলি খায়ে গা।’

ফুটপাতের পাশে লোহার রেলিংয়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে আমন তাঁর প্রাণপণ শক্তিতে হাতের আধখানা ইট ছুড়ে মারতে চাইলেন। কিন্তু তার আগেই সৈনিকদের গুলি খেয়ে তিনি লুটিয়ে পড়লেন রেলিংয়ের পাশে। তাঁর হাতের আধখানা ইট ছিটকে পড়ল তারই নাকের কাছে।

সত্য সত্যই ওরা গুলি করল আমনকে? বিকৃত-মস্তিষ্ক আমনকে? আমনকে অসুস্থ পাগল বলে চিনতে কি ভুল হওয়ার কথা? পাকিস্তানের বীর সৈনিক অতসব বোঝে না। অত সব বুঝতে গেলে ভালো সৈনিক হওয়া যায় না। সৈনিকের কাজ কোনো কিছু বিচার করা নয়, কেবলই গুলি চালানো। হ্যাঁ, পাকিস্তানিরা গুলি চালাতে জানে। রাইফেল-মেশিনগানের লোহার গুলি, রেডিও-টিভিতে গাঁজাগুলি। গোটা পাকিস্তানই একটা গাঁজাগুলি, বলাকা বিল্ডিংয়ের বারান্দায় পড়ে থেকেই কথাটা মনে হয়েছিল সুদীপ্তর। ভাগ্যিস আমন তাঁকে ধাক্কাটা বেশ জোরেই দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে একেবারে ধূলিশায়ী হয়েছিলেন তিনি এবং সেই জন্যই বোধ হয় পাকিস্তানিরা তাঁকে দেখতে পায়নি। কিংবা দেখে থাকলেও মৃত ভেবেছিল। সুদীপ্ত কিন্তু সবই দেখলেন। চিত্রশিল্পী আমনের দেহ লুটিয়ে পড়ে আছে—রক্তের ধারা গড়িয়ে যাচ্ছে পথের ওপর।

ওরা মেরে চলে গেছে। সুদীপ্ত উঠে দাঁড়িয়েছেন। আশ্চর্য, একটুও ভয় পাচ্ছেন না তিনি। একদৃষ্টিতে দেখছেন নিস্পন্দ একটা মানবদেহকে। এই দেহ আশ্রয় করে যিনি ছিলেন তিনিই সেই প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আমন? এই তো ছিলেন। কোথায় গেলেন তবে? তিনি গেছেন সেই জনতার পথে, যারা প্রতিজ্ঞা নিচ্ছে—আমরা এর প্রতিশোধ নেব। সকালবেলার হাসিম সেখের কথা মনে পড়ল—খোদার কসম, আমার মায়ের কসম, আমাদের রক্তের কসম, আমরা এর শোধ নেবই নেব। প্রতিশোধ গ্রহণের দুর্বার শপথ ছড়িয়ে গেল চারপাশের বাতাসে, পথের ধুলোয়, আশপাশের প্রতিটি দেয়ালে, প্রতিটি বাতায়নে, এমনকি আমনের হাতের সেই আধখানা ইটেও। সুদীপ্তর চোখের সামনে সেই ইটের টুকরো হয়ে উঠল আস্ত কামানের গোলা। সে এখন ওত পেতে শত্রুর মুখ খুঁজছে। যেন বলছে মাগো, সন্তানের রক্তে তোমার বুক ভেসেছে, শত্রুর রক্তে তোমার পা ধোয়াব। কথাগুলো আমনের। শিল্পী আমনের একটি ছবির নিচে এই শপথ বাক্য খোদিত ছিল—মাগো, সন্তানের রক্তে তোমার বুক ভেসেছে, শত্রুর রক্তে তেমার পা ধোয়াব।...

না, ওই পানে আর চেয়ে থাকা যায় না। একসময় সুদীপ্ত চঞ্চল হয়ে উঠলেন। মানুষের শব কত আর দেখা যায়। গত বিশ-পঁচিশ দিন ধরে কত রক্ত, কত লাশ তিনি দেখেছেন, কিন্তু কান্না শোনা যায়নি। এই তো এই মার্চেরই মাঝামাঝিতে সেই দিনগুলো। সেদিন গত রাতের কয়েকটি শব এনে ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বটতলায় জড়ো করেছিল। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেই শব ঘিরে স্লোগান দিচ্ছিল, ‘বাঙালি ভাই, ভাইরে—বাঙালি ভাইয়ের রক্ত দেখ।’ সবাই সেই রক্ত দেখেছিলেন। এ তো লাল পলাশের রং নয়। রক্তের রং এত কালোও হয়? যেন কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া আক্ষরিক অর্থেই কৃষ্ণ হয়েছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের সারথি হয়ে তাঁকে ন্যায় সমরে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই কৃষ্ণ-শহীদ ভাইয়েরা তেমনি ন্যায়ের সংগ্রামে গত রাতে দ্বারে দ্বারে ডাক দিয়েছিল—জয় বাংলা। বাংলাকে জয়যুক্ত করার সংগ্রামে তোমরা বীর বাঙালি বেরিয়ে এস। মানি না মানি না, কারফিউ মানি না।

গতরাতে শহরে কারফিউ দেওয়া হলে ওরা মানেনি। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক সরকার বাংলাদেশের দাবি আদায়ের সংগ্রামকে টুঁটি টিপে মারার জন্য দিয়েছিল কারফিউ। সে কারফিউ নীরবে মেনে নেওয়ার মধ্যে ছিল স্বদেশের অপমান। সেই অপমান ঘোচাতে ওরা বেরিয়েছিল পথে। স্লোগান দিয়েছিল...জয় বাংলা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে যেন বিচ্ছুরিত জ্বালা। ওদের সর্বাঙ্গ জ্বলে যায়। কভি নেহি বরদাশত কারেগা। যে মুখের কথায় এত জ্বালা, গুলি মার সেই মুখে—একটা বর্বর ক্রোধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইয়াহিয়ার সৈনিক নামধারী দস্যুরা। ‘বাংলা’ শব্দটা উচ্চারণের সময় মুখ প্রসারিত হলে ঠিক সেই যথালগ্নে ওদের মুখ লক্ষ্য করে গুলি করে। আর তার ফলে, দেখ, মুখের তালু ভেদ করে সারা মুখখানা কী বিকৃত হয়ে গেছে। কিন্তু মুখের সেই বিকৃতি যেন, সুদীপ্তর মনে হয়েছিল, সারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক বিরাট ব্যঙ্গ। ওরা যেন যাওয়ার আগে একটা মুখ ভেংচি দিয়ে গেছে ইয়াহিয়াদের পাকিস্তানকে। না, ওদের সঙ্গে আর নয়। সেই লাশগুলো সেদিন যাঁরাই দেখতে এসেছিলেন, তাঁদেরই মনে জন্ম নিয়েছিল কথাগুলো—না, ওদের সঙ্গে আর নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সেই প্রাচীন বটবৃক্ষ তার সাক্ষী। ওগো প্রাচীন বটবৃক্ষ, সাক্ষী থেকো তুমি ওদের সঙ্গে আর নয়। ছাত্রদের প্রতিটি আন্দোলনের সাক্ষী সেই প্রাচীন বটবৃক্ষ। উনসত্তরের আইয়ুব বিতাড়নের আন্দোলনে এই বটতলা থেকেই ছাত্ররা যুদ্ধ করেছিল মোনায়েম খানের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে। না, পুলিশেরা রাইফেল মেশিনগান নিয়ে আসেনি। এসেছিল লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিয়ে। লাঠির মোকাবিলা করতে ছেলেরা সক্ষম ছিল কিন্তু কাঁদানে গ্যাসের? সুদীপ্ত নিজে না দেখলে তা কি বিশ্বাস করতেন? কাঁদানে গ্যাসের শেলগুলো এসে পড়তেই ভেজা চট হাতে জড়িয়ে সেগুলো ধরে ফেলছিল তারা এবং ছুড়ে মারছিল রাস্তার পুলিশের দিকে, তখন পুলিশেরাই তার ফলে কাঁদানে গ্যাসের জ্বালায় অস্থির। সে এক আশ্চর্য যুদ্ধ। তারপরেই তো ঘটে গেল পরপর দুটি মৃত্যু—ঢাকায় মারা পড়লেন ছাত্রনেতা আসাদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপ্রিয় অধ্যাপক শামসুজ্জোহা। শামসুজ্জোহার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র আন্দোলন এমনই ভয়াবহরূপে ব্যাপকতা পেল যে আইয়ুবশাহি আর টিকল না। তখন মুখোশ পরে এল ইয়াহিয়া। মুখোশধারী ইয়াহিয়া প্রথম দিকে অভিনয় ভালোই করেছিল। ধুলো দিতে পেরেছিল বাঙালির চোখে। কিন্তু সব মুখোশ তার খুলে গেল গত পয়লা মার্চ তারিখে। জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে বাঙালি যে এমন একটা কাণ্ড করবে তা কেউ ভেবেছিল নাকি। আইয়ুব খান উপদেশ ইয়াহিয়াকে ঠিকই দিয়েছিলেন—দেখ হে, তুমি সোলজার মানুষ। ওই সব ডেমোক্রেসি তুমি হজম করতে পারবে না। সবার পেটেই কি ঘি হজম হয়?

হুজুর, সে কথা আমিও জানি। এ কেবল একটা ধাপ্পা। পরিষদে ইনশাআল্লাহ দেখবেন কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তারা তখন ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে কামড়াকামড়ি শুরু করবে। আর সেই সুযোগে...

কিন্তু সুযোগ পেলে তো হে। ধর, বঙ্গাল মুলুকের সবাই একটা মাত্র দলকেই ভোট দিল। তখন? হুজুরের কথায় ইয়াহিয়া তখন মুখ টিপে হেসেছিল। হুজুর, এই জন্যই আপনি তখ্​ত হারালেন। বাঙালি চরিত্র আপনি চেনেন না। ঝগড়ার ভয়ে যাদের দুজনকে একসঙ্গে কবর পর্যন্ত দেওয়া যায় না, তারাই মিলেমিশে একটা মাত্র দলকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে। এ-ও বিশ্বাস করতে বলেন হুজুর। আপনি যে হাসালেন দেখি।

কিন্তু সত্যিকার হাসার দিন ইয়াহিয়া পায়নি। নির্বাচনের ফল বেরোলে সব হাসি তার মিলিয়ে গেল। এবার? হায় হায় দালালি করতে পারে এমন যে নামগুলো নোটবুকে টোকা ছিল তারা সব যে হেরে গেল। এখন যে আর চিন্তা করেও কোনো কূল মেলে না। ধুত্তোর চিন্তা। শারাব লে আও। মদের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল ইয়াহিয়া এবং কিছু চিন্তা না করে হুকুম জারি করল—জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বন্ধ। কিন্তু কেন? এবং কত দিনের জন্য? এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হলো গুলিতে। ইয়াহিয়া তার দেশ শাসনের ব্যাপারটাকে সরল ও সনাতন একটি সূত্রের ওপর স্থাপন করল—তেড়ে মেরে ডান্ডা, করে দেব ঠান্ডা। বেশ, তবে তাই হোক। ডান্ডার জোরই পরীক্ষা হয়ে যাক। বাঙালির কাঁদার দিন আর নেই। এবার অস্ত্রের উত্তর অস্ত্রের ভাষায়। বাঙালির কান্নার দিন শেষ হয়েছে। এই যে সারা মার্চ মাস ধরেই বাংলাদেশে ইতস্তত নরহত্যা চলল, এ জন্য বসে বসে কাঁদলে কি বাঙালি বাঁচত? আশ্চর্য, ওরা যত মেরেছে ততই দৃঢ় শপথে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঙালি। পাল্টা মার দেওয়ার শপথ নিয়েছে—দুর্জয় শপথ। কিন্তু গত পঁচিশের রাতের সেই মার? তার বিরুদ্ধেও দাঁড়ানোর সাহস তার হবে? ১০০ বার হবে। হতেই হবে। পাল্টা মার দিতে না পারলে বাঙালির দশা এখন কী হবে বলতে পার? দাস্যবৃত্তি আর গণিকাবৃত্তি। তার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে।

আনোয়ার পাশা রচিত রাইফেল রোটি আওরাত উপন্যাস থেকে অংশবিশেষ

আনোয়ার পাশা
আনোয়ার পাশা

আনোয়ার পাশা

আনোয়ার পাশার রাইফেল রোটি আওরাত যেন একাত্তরের আনা ফ্রাংকের দিনলিপি। লেখক ২৫ মার্চের কালরাত পেরোতে পারলেও ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাযজ্ঞ পেরোতে পারেননি। ইতিহাস বা নিয়তি যা-ই বলি, তা তাঁকে আরও কিছুকাল বাঁচিয়ে রেখেছিল হয়তো তাঁকে দিয়ে একাত্তরের অমর উপাখ্যান লিখিয়ে নেবে বলেই। ১৯৭১–এর পঁচিশে মার্চের কালরাতের পর থেকে এই উপন্যাসটি লিখতে শুরু করেন তিনি। এই লেখকের জন্ম ১৯২৮ সালের ১৫ এপ্রিল, পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর মহকুমার রাঙ্গামাটি চাঁদপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ডবকাই গ্রামে। মানিকচক হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে আনোয়ার পাশার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬৯ সালে স্থায়ী হন। একাধারে তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক ও সমালোচক। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে নীড় সন্ধানী, নিশুতি রাতের গাথা, রাইফেল রোটি আওরাত, নদী নিঃশেষিত হলে, রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা প্রভৃতি। ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানপন্থী আলবদর বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এবং মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের কাছে নির্মমভাবে হত্যা করে।