'আমার কাছে দেখাও অদেখা দুই-ই সমান গুরুত্বপূর্ণ'

অমিত চৌধুরী
অমিত চৌধুরী
ইংরেজিতে সাহিত্যচর্চা করে যে গুটিকয় ভারতীয় লেখক সমকালীন বিশ্বসাহিত্যে সাড়া ফেলেছেন, অমিত চৌধুরী এঁদের অন্যতম। সাহিত্য উৎসবে অংশ নিতে সম্প্রতি এসেছিলেন ঢাকায়। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তুষার তালুকদার

তুষার তালুকদার: ঢাকায় অনুষ্ঠিত কোনো সাহিত্য উৎসবে এইপ্রথম এসেছেন আপনি। আপনার অনুভূতি কি?

অমিতচৌধুরী: ঢাকায় কোনো সাহিত্য উৎসবে এই প্রথম অংশ নিয়েছি আমি। দশ বছর আগে প্রথমবারের মতো ঢাকা এসেছিলাম যামিনী নামের একটি শিল্পবিষয়ক সাময়িকীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। দীর্ঘ সময় পর এবার আবার এলাম সাহিত্য উৎসবে। এখানে বাংলাদেশের পাঠক ও শ্রোতাদের আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার কোনো কোনো উপন্যাস পড়েছেন, এমন পাঠকদের সঙ্গে কথা বলে আমি বিমোহিত। তবে এবার ঢাকায় পা রেখেই জানলাম, এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ। কেন তা জানি না। খটকা লাগল এ ভেবে—মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে যে ভূখণ্ডে, আলোকময় সাহিত্যানুষ্ঠান হচ্ছে যে অঞ্চলে, সেখানে কেন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকবে! যা হোক, এই একটি দ্বান্দ্বিক বিষয় বাদ দিলে বাকি সবকিছুই আমার ভালো লেগেছে।

তুষার: জন্মেছেন কলকাতায়, বড় হয়েছেন মুম্বাইয়ে, পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডে নিজেকে কি আপনি বিশ্বনাগরিক হিসেবে বিবেচনা করবেন?

অমিত: হ্যাঁ, তা বলতে পারেন। নিজেকে আমি বিশ্বনাগরিক ভাবি। অবশ্যই লেখাপড়ার জন্য পাশ্চাত্যে গিয়েছি। কাজের সূত্রে এখনো ভারতের বাইরেই বেশি সময় থাকা হয়। তবে যেখানেই যাই না কেন মনটা ভারতে থাকে, দেহটা হয়তো নানা জায়গা ঘুরে বেড়ায়।

তুষার: একাধারে আপনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও ধ্রুপদি সংগীতজ্ঞ কোন পরিচয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

অমিত: লোকে ঔপন্যাসিক হিসেবে বেশি চেনে আমাকে। তবে বলতে গেলে সবগুলো পরিচয়েই আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সৃষ্টিশীলতার নানা মাধ্যম আছে। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি চিন্তা করা দুরূহ। প্রতিটি মাধ্যমেই আমি পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার চেষ্টা করি।

তুষার: আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত উপন্যাস আ নিউ ওয়ার্ল্ড-এ আপনি মূলত কোন বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছেন?

অমিত: প্রথমেই বলি, আমার অন্য সব উপন্যাসের মতোই নিউওয়ার্ল্ড-কোনো বিশেষ ঘটনা নেই, কোনো আকর্ষণীয় প্লট নেই। একটি গল্পের ঠিক শেষবিন্দু থেকে উপন্যাসটি শুরু করেছি আমি। মূল ঘটনাটি এ রকম—জয়োজিত আমেরিকায় থাকে। পেশায় অর্থনীতিবিদ। সদ্য স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছে একমাত্র সন্তান বিক্রমকে নিয়ে কলকাতায় বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসবে। উদ্দেশ্য সন্তানকে কলকাতার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। মোটা দাগে এই হচ্ছে উপন্যাসের শুরু। এমন একটি ছোট ও নিরস ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি জয়োজিতকে কল্পনা করতে শুরু করলাম। তার ভাবনাটা আবিষ্কার করতে শুরু করলাম। পুরো আখ্যানে জয়োজিতের মাধ্যমে দুটো বিষয় দেখাতে চেয়েছি—প্রথমত, ধরে নিয়েছি, জয়োজিত ১৯৫০ বা ’৬০ দশকের ভারতের একজন প্রতিনিধি। মূলত ওই দুই দশকের তরুণরাই এখন পরিণত বয়সে ভারত চালাচ্ছেন, নানা পর্যায় থেকে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্য থেকে আমলা, অন্যান্য বড় সরকারি চাকুরে, অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, এমনকি ঔপন্যাসিকও হয়েছেন। যেমন: অমিতাভ ঘোষ, বিক্রম শেঠের মতো লেখকেরাও ওই সময়েই বেড়ে উঠেছেন। ওই দশকগুলোর লেখকেরা বুঝতে চেষ্টা করেছেন, নেশন-স্টেট বা জাতিরাষ্ট্র আসলে কী জিনিস। লক্ষ করে দেখবেন, মিডনাইটসচিলড্রেন-এর পর থেকে সালমান রুশদির সব উপন্যাস জাতিরাষ্ট্র ও এর সমস্যাকে কেন্দ্র করে লেখা। আবার ওই দশকের বিভিন্ন পর্যায়ের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেড়ে উঠেছেন দিল্লিতে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা থিতুও হয়েছেন ওই শহরে। ফলে আগাগোড়াই ক্ষমতার খুব কাছাকাছি ছিলেন তাঁরা, এমনকি এখনো অনেকে আছেন। জয়োজিতও ক্ষমতার খুব কাছে থেকে বেড়ে উঠেছে। তাই জয়োজিতের মতো লেখাপড়া জানা ব্যক্তিরা জেনেছে কীভাবে একটি জাতিকে চালাতে হয়। এককথায়, একটি জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছে তারা। দ্বিতীয়ত, আমি দেখাতে চেয়েছি, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে মানুষ ছোটখাটো বিষয়কে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। যেমন অর্থনীতিবিদ জয়োজিতও দেয় না। তার জীবনে বিবাহ বিচ্ছেদটি হয়তো অন্য আর দশটা সাধারণ ঘটনার মতো। তবে উপন্যাসের একপর্যায়ে দেখবেন, যে জয়োজিতের সময় কাটে দারুণ ব্যস্ততায়, সে গত দুই মাস ধরে কলকাতায় ঘরে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে, তেমন কিছুই করছে না। কেন? তবে কি যে জয়োজিতের ওপর ভারত নিয়ন্ত্রণের ভার সে এখন নিজেই নিয়ন্ত্রণহীন? আমি হলফ করে বলতে পারি, আপনি ইচ্ছা করলেও আপনার জীবনকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

তুষার: প্রায় প্রতিটি উপন্যাসে নিত্যদিনকার খুব ছোট ছোট বিষয় কিংবা যে সব বিষয় খুব সহজেই চোখ এড়িয়ে যায় সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে, যত্ন করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। এর কি কোনো বিশেষ কারণ আছে?

অমিত: উদ্দেশ্য বা কারণটি খুব স্পষ্ট ও সাদামাটা। আমার কাছে দেখা ও অদেখা দুই-ই—দুধরনের বিষয়াবলিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিজের লেখায় আমি যা দেখছি তার বর্ণনা যেমন দিই, তেমনি আমার চোখের আড়ালে ঘটছে এমন কিছু যার শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি তারও একটি চিত্র আঁকতে চেষ্টা করি। কোনো ঘটনার শীর্ষবিন্দু বা ক্লাইমেক্স আমার কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ, বরং চূড়ান্ত কিছু ঘটার পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়েই অনেক ক্ষেত্রে গল্প শুরু করি আমি। যেমন নিউওয়ার্ল্ড-এর মূল ঘটনা বিবাহ বিচ্ছেদকেন্দ্রিক। আমি কিন্তু এর কোনো বর্ণনা দিইনি। অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে সরে গিয়ে গল্প লিখতে শুরু করেছি। আবার ব্যক্তির গল্পের পাশাপাশি বস্তুর গল্পকেও আমি সমান গুরুত্ব দিই। এ প্রসঙ্গে বলতে পারি, সত্যজিৎ রায় কিংবা জ্যাঁ রেনোয়ারের ছবির কথা। তাঁদের বানানো সিনেমার একটি বিশেষ দিক—তাঁরা ব্যক্তির গল্পের পাশাপাশি অপরাপর সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে চিত্রায়িত করেছেন। যেমন, গাছের পাতা থেকে পানি ঝরে পড়ছে—এমন একটি চিত্র সময় নিয়ে দেখিয়েছেন রেনোয়ার। তাড়াহুড়ো করেননি। কারণ তাঁর কাছে ব্যক্তিগত গল্পের মতো এটিও একইভাবে জরুরি মনে হয়েছে। ঠিক তেমনি আমার গল্পগুলোতে চেষ্টা করেছি অপেক্ষাকৃত কম নজরে আসা বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে। এককথায়, কেবল কেন্দ্রীয় চরিত্রকে খুব বেশি প্রাধান্য দিয়ে কোনো উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা আমি কখনো করি না।

তুষার: কেন্দ্রকে প্রাধান্যনা দেওয়ার ব্যাপারটি তো উত্তরাধুনিক উপন্যাসে দেখা যায়। কিন্তু যতদূর জানি আপনার উপন্যাসকে আপনি আধুনিক হিসেবেই অভিহিত করে থাকেন তবে কি আপনার উপন্যাসে আধুনিকও উত্তরাধুনিকদুই ধারার উপাদানই বিদ্যমান?

অমিত: উত্তরাধুনিক ঔপন্যাসিকেরা ঠিক কী করছেন আমি জানি না। হ্যাঁ, উত্তরাধুনিকতার অনেক উপাদান আমার উপন্যাসে খুঁজে পেতে পারেন আপনি। তবে সর্বোপরি আমার উপন্যাসের আধুনিক দিকগুলো বলতেই আমি আগ্রহী। বলা যেতে পারে, আমার মতো করে আমি আধুনিক। আধুনিকতার অনেকগুলো ব্যাখ্যা আছে। আগেই বলেছি, আকর্ষণীয় কিংবা মনকাড়া ঘটনায় কোনো আগ্রহ নেই আমার। ধরুন, ঘরভর্তি মানুষ হইচই করছে অথচ আমার চোখ বারান্দাতে কী হচ্ছে তার দিকে। তা ছাড়া শব্দের প্রতি একটা আকর্ষণ আছে আমার। শব্দ আপনাকে অদেখা জগৎ সম্পর্কে ধারণা দেবে। ধরুন, জানালা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন, চোখের সামনের দেখতে পাচ্ছেন জগৎকে। হঠাৎ দেখা যাচ্ছে না—পাশের এমন কোনো রাস্তা থেকে একটি শব্দ কানে এল। এবং ওই শব্দের কারণে আপনি অদেখা জগৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করলেন। আমার প্রথম উপন্যাস স্ট্রেঞ্জঅ্যান্ডসাবলাইমঅ্যাড্রেস-এ শব্দের ব্যাপারটি স্পষ্টভাবে এসেছে। এভাবে আমার আধুনিকতায় দেখা-অদেখা-শ্রুত-অশ্রুত বিষয়াবলির একটা সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি আমি। সর্বোপরি, প্রতিদিনকার জীবনের অতিসাধারণ বিষয়গুলোকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করার একটি প্রবণতা আমার উপন্যাসগুলোতে বরাবরই থাকে। আর এগুলো করতে গিয়ে কেউ আমাকে উত্তরাধুনিক বললে তাতে আপত্তির কিছু দেখি না।

নিজের লেখায় আমি যা দেখছি তার বর্ণনা যেমন দিই, তেমনি আমার চোখের আড়ালে ঘটছে এমন কিছু যার শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি তারও একটি চিত্র আঁকতে চেষ্টা করি

তুষার: আপনার উপন্যাসে সংগীতের একটা প্রচ্ছন্ন প্রভাব আছে। যেমন দ্য ইমমোরটালস-এ সংগীত একক ভাবে একটি বড় থিম হয়ে উঠেছেএ প্রসঙ্গে কী বলবেন?

অমিত: সংগীত কীভাবে আমাকে প্রভাবিত করল প্রথমে বলি সে বিয়য়টি। হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি ঘরানার সংগীতের মতো একটি ঐতিহ্যে প্রবেশ করলে অনেক নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। ছোটবেলা থেকেই শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা আমাকে একটা নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে আবদ্ধ করেছে। ধরুন, একজন লেখক রাত তিনটে অবধি কাজ করলেন, পরদিন দুপুর বারোটায় ঘুম থেকে উঠলেন। এতে দোষের কিছু নেই কিন্তু একজন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীর এমন সুযোগ মোটেই নেই। কারণ তাকে ভোরবেলায় উঠে রেওয়াজ করতে হবে। অতএব দেরিতে ঘুমানোর সুযোগ তার নেই বললেই চলে। এই কথাগুলো বললাম কারণ আমাকে ওই ব্যাপারটির মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমাকে লেখক-সত্তা ও শিল্পীসত্তার মধ্যে সমন্বয় করতে হয়েছে। ফলে স্বভাবতই একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে চলতে হয় আমাকে, যদিও সব সময় তা পারি না। আর সংগীতবলয়ে বড় হয়েছি বলে এর প্রভাব লেখালেখিতেও চলে এসেছে।

আমি দ্যইমমোরটালস উপন্যাসে দেখানোর চেষ্টা করেছি ভারতে আশি ও নব্বইয়ের দশকে কীভাবে শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীদের জীবন-জীবিকার জন্য মুক্তবাজার সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বলা ভালো, আশির দশকের শুরুর দিকে ভারতে সংগীত কোম্পানিগুলো ঠিক করল তারা জনপ্রিয় ধারার গান তৈরি করবে, সেলিব্রেটি শিল্পী তৈরি করবে। ফলে ওই সময় অনেক তৃতীয় সারির শিল্পীও রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গেল। ওই ধারণাকে পুঁজি করেই লেখা দ্যইমমোরটালস। আশির দশকের গোড়াতে শাস্ত্রীয় সংগীত পুরোপুরি প্রান্তিক একটা জায়গায় চলে গেল, ভজন সংগীত প্যাকেজ আকার ধারণ করল, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীতের চর্চা কমে গেল। অন্যদিকে, তৈরি হতে থাকল জনপ্রিয় ধারার সেলিব্রেটি শিল্পী। এমন একটি সংকটকালের ঠিক পর থেকে উপন্যাসটি শুরু হয়েছে। গল্পটি এ রকম: শ্যামজি নামে একজন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ধনাঢ্য সেনগুপ্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান নির্মলাকে উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম দেন। একসময় তিনি নির্মলার মা মল্লিকাকেও তালিম দিয়েছেন। যা হোক, বিশ্বায়নের এই যুগে শ্যামজিকে এখন জনপ্রিয় ও সিরিয়াস ধারার সংগীতের মধ্যকার তফাত নতুন করে বুঝতে হচ্ছে। তার একটি কথা—‘খালি পেটে শিল্প-সাধনা সম্ভব নয়’—পুরো উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ থিম। তাই তাকে মুক্তবাজার সংস্কৃতির কাছে মাথানত করতে হলো কেবল জীবন ধারণের জন্য। এককথায়, উচ্চাঙ্গসংগীতের শিল্পীরা কীভাবে নিজেদের খাপ খাওয়াবে ওই দশকের পরিবর্তিত ধারার সঙ্গে নাকি তারা প্রান্তিকতার শেষবিন্দুতে গিয়ে ঠেকবে—এমন ধারণাই আমাকে দ্যইমমোরটালস লিখতে প্রেরণা জুগিয়েছে।

তুষার: বাংলা সাহিত্য কিংবা বাংলাদেশি সাহিত্য কি পড়েন আপনি?

অমিত: বাংলা সাহিত্য পড়েছি কিংবা এখনো পড়ি, কিন্তু তবে তা সংখ্যায় খুব কম। এর একটি কারণ, আমি জটিল বাংলা বুঝতে পারি না। সহজ-সরল বাংলা লেখা পড়তে পারি। পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের কিছু বই পড়েছি। তবে বাংলাদেশি লেখকদের এখনো তেমনভাবে পড়া হয়ে ওঠেনি। আবার বাংলাদেশে যাঁরা ইংরেজিতে লেখেন তাঁদের দু-একজনের লেখা পড়েছি। যেমন কায়সার হকের লেখা কবিতা ও প্রবন্ধ ভালো লাগে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ফকরুল আলম, তাহমিমা আনামের লেখালেখি সম্পর্কে অল্প-বিস্তর জানি। তবে আগ্রহ আছে বাংলাদেশি সাহিত্য পড়ার।