র্যাবের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
অবস্থান পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালাব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, র্যাব এবং সংস্থার সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা পরিবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হবে। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয় ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সফর উপলক্ষে ওই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিন মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটি দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাকে আলোচনা করে একটি করে উত্তর দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। একা হুট করে উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রে বিচারবর্হিভূত হত্যা ও গুমের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন পদক্ষেপের সমালোচনা করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নেওয়ার কথা আমি কোনোদিন শুনিনি। কিন্তু বাংলাদেশে হঠাৎ কোনো কোনো লোকের প্ররোচনায়, কোনো কোনো সংস্থা বিশেষ করে, মানবাধিকার ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কারণে এমন বড় একটি সিদ্ধান্ত আলোচনা না করে চাপিয়ে দেওয়া হলো।
আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করছি। হঠাৎ না জানিয়ে কেন এটা করা হলো আমরা এটা ওদের সঙ্গে আলোচনা করব। ওদের সব সিদ্ধান্ত সঠিক এমন নয়, এর ভূরি ভূরি নজির আছে। তাদের মধ্যে পরিপক্ব ও জ্ঞানী লোক আছে। তারা যাতে তাদের অবস্থার পরিবর্তন করে সেই প্রচেষ্টাই চালাব।’