অভিযানে আসা পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবেশ অধিদপ্তর প্রকাশ করবে না—এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমে আসা খবরের সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই রিট করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানের পর জরিমানা ও সাজা দেওয়া দূষণকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম আগে প্রকাশ করা হতো। দূষণকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবেশ অধিদপ্তর প্রকাশ করবে না বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। এরপর অভিযানে জরিমানা ও সাজা দেওয়া দূষণকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না, যে কারণে রিটটি করা হয়। কেননা, তথ্য অধিকার আইনের ৬(১) ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৪(২)(চ) বিধান অনুসারে দূষণকারীদের সব তথ্য প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষ আইনগতভাবে বাধ্য।
দূষণকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং দূষণকারীদের নাম প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশসচিব, তথ্যসচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।