অর্থপাচার মামলায় বিএনপি দলীয় সাবেক মন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আজ বুধবার থেকে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।
ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আতাউর রহমান এ অভিযোগ গঠন করেন। তিনি এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এ মামলায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসর প্রাইভেট ব্যাংকে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা রাখেন। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে বিদেশে কোনো অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তিনি তা না করে বাংলাদেশে উপার্জিত এ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যা অর্থপাচার আইনে অপরাধ।
এ অর্থপাচারের অভিযোগ এনে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তে প্রমাণ পেয়ে ওই বছরের ১৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৭ জন।
বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার মোশাররফকে আজ অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।