আইনজীবীর দাবি কাগজপত্র নিয়ে গেছে, ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে সন্দেহ হাইকোর্টের

মিনু আক্তার।
ছবি সংগৃহীত

খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর বদলে মিনু আক্তার সাজা খাটছেন। এই মামলা ঘিরে কুলসুম হিসেবে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মিনু। এই আপিল আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানিতে তদবিরকারক কাগজপত্র নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন আপিলকারীর আইনজীবী।

এমন প্রেক্ষাপটে যাঁরা কাগজপত্র নিয়ে গেছেন ও যোগাযোগ করেছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা-মোবাইল নম্বর আগামী রোববারের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে আপিলকারী আইনজীবী ইকবাল হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৫ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আগামী সোমবার রাখছি। এ রকম করে ওকালতি হয় নাকি? টাউট-বাটপাররা আসবে, আপনারা আইনজীবীরা প্রশ্রয় দেবেন? আপনার কাছ থেকে জোর করে কাগজপত্র নিয়ে গেল, এটি বিশ্বাসযোগ্য কথা?’
শুনানিতে আইনজীবী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে যখন মামলাটি পাঠানো হলো, তখন বলা হলো, ওই নারী খুবই অসহায়। তাঁর কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। একজন তদবিরকারক দিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আমি তাঁদের বারবার অনুরোধ করার পরেও ওই আইনজীবী কোনো তদবিরকারক পাঠাননি। বারবার অনুরোধ করেছি, লোক পাঠানোর জন্য, আত্মীয় স্বজন-পাঠানোর জন্য। কিন্তু তাঁরা কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না।’

ওই আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘যখন অনুরোধ শুনল না, তখন মামলা ফাইল করতে গেলেন কেন? এখানে (আপিলে) লিখেছেন সন্তুষ্ট হয়ে। আপনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। তদবিরকার, ওকালতনামা রিসিভ করেছেন। তাহলে তো দোষ আপনার ওপরে যায়। আপনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। এত খামখেয়ালিভাবে চললে কীভাবে হবে? আপনি যদি সঠিক পথে থাকেন, তাহলে আপনাকে ধরবে কেন?’ তখন ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি জানতাম না মামলার মধ্যে এত কিছু হয়ে গেছে।’

খুনের যে মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর বদলে মিনু আক্তার সাজা খাটছেন, সেই মামলা ঘিরে করা আপিল শুনানির জন্য গতকাল বুধবার বিষয়টি একই বেঞ্চে উপস্থাপন করেন আপিলকারীর আইনজীবী। আজ আপিলটি আদেশের জন্য কার্যতালিকার ২৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল। আদালতে কুলসুম হিসেবে করা আপিল তথা মিনুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির ও ইকবাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

অদ্ভুত কথা আইনজীবীর কাছে ফাইল নিয়ে যাবে

শুনানির একপর্যায়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ঘটনাটি পত্রিকায় আসার পর যখন খবর নিলাম, তখন শুনেছি, তদবিরকারকেরা আইনজীবীর (ইকবাল হোসেন) কাছে এসে সব কাগজপত্র জোর করে নিয়ে গেছেন।’

আদালত বলেন, ‘মি. শিশির মনির, আইনজীবী দেবেন কেন? এটি কথা হলো নাকি একজন অ্যাডভোকেট সাহেবের কাছ থেকে জোর করে কাগজ নিয়ে যায়? সে সময় তো উনার (ইকবাল) আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল।’

আইনজীবী ইকবাল হোসেন বলেন, যখন কাগজপত্র নিয়ে যায়, তখন ঘটনাটি পত্রিকায় আসেনি।

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ইকবাল হোসেনের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনার কাছ থেকে যাঁরা কাগজপত্র নিয়েছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা-মোবাইল নম্বর আমাদের দেবেন। হলফনামা করে রোববার আদালতে দেবেন।’
ইকবাল ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন।

আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আগামী সোমবার রাখছি। এ রকম করে ওকালতি হয় নাকি? টাউট-বাটপাররা আসবে, আপনারা আইনজীবীরা প্রশ্রয় দেবেন? আপনার কাছ থেকে জোর করে কাগজপত্র নিয়ে গেল, এটি বিশ্বাসযোগ্য কথা?’
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘উনার (ইকবাল) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে, এর কপিও দেওয়া হবে।’
আদালত বলেন, ‘অভিযোগ যে দিয়েছে, তা দেন। আপনার আইনজীবী বন্ধুকে (ইকবাল) বলেন হলফনামা আকারে, কারা এসেছে, তাঁদের মোবাইল নম্বর-ঠিকানা সবকিছু জানাতে। আপনাদের আইনজীবীদের অনেক সাবধান হওয়া উচিত। কেননা, অনেক সময় এই যে আপনাদের প্রশ্রয়ে সিন্ডিকেট হয়। অদ্ভুত কথা, আইনজীবীর কাছে ফাইল নিয়ে যাবে?’

মূল আসামি কি গ্রেপ্তার হয়েছিল

এর আগে শুনানিতে আদালত বলেন, মূল আসামি কি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন?
তখন শিশির মনির বলেন, একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হয়ে ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে ছিলেন। জামিনে সেদিন তিনি বেরিয়ে যান।

আদালত বলেন, ‘যখন গ্রেপ্তার করেছে, তখন তাঁর ছবি ছিল না?’
তখন শিশির মনির বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খণ্ড নথিতে দুজনের ছবি আছে।
আদালত বলেন, রায় ঘোষণার দিন কে আদালতে (বিচারিক আদালত) উপস্থিত ছিলেন?
তখন শিশির মনির বলেন, কেউ উপস্থিত ছিলেন না। মূল আসামি পলাতক ছিলেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বলেন, যুক্তিতর্ক পর্যন্ত আসামি উপস্থিত ছিলেন।

আদালত বলেন, ‘তাহলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এখন কি হবে?
জবাবে সারওয়ার হোসেন বলেন, আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেন। একজন অপরাধী জামিন নিয়ে পলাতক হয়ে যাবেন, একজন নিষ্পাপ সাজা খাটবে তা হতো পারে না।
আদালত বলেন, ‘নিষ্পাপ, সে তো গলা সেধে দিয়েছে। অবশ্য দিছে...।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, চাল-ডালের কথা বলেছে। উপ-নথিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের (৪র্থ আদালত) কাছে তাঁর (মিনু) দেওয়া একটি স্টেটমেন্ট আছে।
এই পর্যায়ে শিশির মনির বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে একটি পরিসংখ্যান নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে, ১৭টি ঘটনা—একজনের নামে আরেকজন জেলে থাকে।’
তখন আদালত বলেন, এটি অনেক পুরোনো। এগুলো নিয়ে ভারতে বহু সিনেমাও হয়েছে।
শিশির মনির বলেন, ভারত সংশোধন করেছে।
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আদালত বলেন, ঢাকা বারে (আইনজীবী সমিতি) এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। মক্কেল আসেননি। অ্যাডভোকেট সাহেব তাঁর জুনিয়রকে ডেকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, মক্কেলের পক্ষে হাজিরা দেওয়ার জন্য। তাঁকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়।
আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনারা মক্কেলদের যেভাবে পরামর্শ ও বুদ্ধি দেন, তাঁরা সেভাবে চলে।
শিশির মনির বলেন, ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে পুলিশ। এটি প্রতিটি থানায় আছে। এই পদ্ধতি কারা কর্তৃপক্ষের প্রবর্তন করা উচিত। তা না হলে আমরা কেউই মুক্তি পাব না।

ওকালতনামায় সই করল কে?
আদালত বলেন, এই মামলায় ওকালতনামায় সই করল কে?
তখন শিশির মনির বলেন, কারাগার থেকে কুলসুম হিসেবে ওকালতনামায় সই করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বলেন, আপিল ফাইল করেছেন আইনজীবী ইকবাল হোসেন।
আদালত বলেন, এই কুলসুম সই করেছেন?
শিশির মনির বলেন, এই কুলসুম (মিনু) করেছেন, জেলে যাওয়ার পরে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।

আদালত বলেন, কে ফাইল করল?
শিশির মনির বলেন, চক্রটা কী? চক্রটা হলো উনার নামে আরেকজন বস্তির অসহায় নারীকে জেলে ঢুকিয়েছে। জেলে ঢুকিয়ে তাকে কুলসুমী হিসেবে চালিয়ে দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওকালতনামা নিয়ে আসছে। ওকালতনামা নিয়ে এসে তারপর হাইকোর্টের একজন আইনজীবীকে দিয়েছেন। তিনি আপিল ফাইল করেছেন। তাঁকে (মিনু) বলেছে, দুই-তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা হবে। এখন আড়াই বছর হয়ে গেছে ব্যবস্থা হয় নাই।

আপনাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে তো এমন হয়

আইনজীবী ইকবাল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে যখন মামলাটি পাঠানো হলো, তখন বলা হলো ওই নারী খুবই অসহায়। তাঁর কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। একজন তদবিরকারক দিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আমি তাঁদের বারবার অনুরোধ করার পরেও ওই আইনজীবী আমার কাছে কোনো তদবিরকারক পাঠায়নি। না পাঠানোর কারণে পরিচিত একজনকে জানিয়ে তার নাম এখানে ব্যবহার করেছি।

আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে তো এমন হয়। তখন ইকবাল হোসেন বলেন, আমি তাদের বারবার অনুরোধ করেছি, তাদের আত্মীয়-স্বজনকে পাঠাতে অ্যাফিডেভিটের জন্য। আদালত বলেন, চট্টগ্রাম থেকে যিনি কাজ পাঠালেন, তাদের বললেন না কেন? ইকবাল হোসেন বলেন, তাদের বারবার অনুরোধ করেছি। আদালত বলেন, অনুরোধ করার পর যখন অনুরোধ শুনল না, তখন মামলা ফাইল করতে গেলেন কেন?

ইকবাল হোসেন বলেন, যখন মামলাটি করছিলাম না, তখন তারা আমার নামে বারে (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) অভিযোগ করেছে। অভিযোগের কপি আইনজীবী শিশির মনিরের কাছে দেওয়া হয়েছে। তখন শিশির মনির বলেন, অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রামে জজ কোর্টের আইনজীবী বিবেকানন্দ চৌধুরী, সঙ্গে সরকারি একজন আইনজীবীও আছেন। একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে।

ঘটনার পূর্বাপর

প্রাপ্ত তথ্যমতে, মুঠোফোন নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের রহমতগঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পোশাককর্মী কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা হওয়ার আগে প্রকৃত আসামি কুলসুম ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কারাগারে আসেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (চতুর্থ আদালত) আদালত থেকে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুম। ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমী সেজে মিনু আক্তার আত্মসমর্পণ করে কারাগারে আসেন। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে কুলসুম হিসেবে হাইকোর্টে আপিল করা হয়, যেখানে আইনজীবী হিসেবে আছেন ইকবাল হোসেন। আর এই আপিল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে।

নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ড পরিদর্শনের সময় কুলসুমের বদলে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি জেনে রেজিস্ট্রারের ছায়া লিপিসহ ২১ মার্চ চট্টগ্রামের আদালতে একটি আবেদন দেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার (চলতি দায়িত্ব) মো. শফিকুল ইসলাম খান। এরপর ২২ মার্চ হাজিরা পরোয়ানামূলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (চতুর্থ আদালত) শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মিনুকে হাজির করা হয়।

সেদিন মিনুর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। মিনুর বক্তব্য অনুসারে, মর্জিনা নামের এক নারী তিন বছর আগে ডাল-চাল দেবেন বলে তাঁকে ঘর থেকে নিয়ে এসে জেলে ঢুকিয়ে দেন। তখন তিনি ভাসমান বস্তিঘরে ছিলেন। তাঁর স্বামী ও দুই ছেলে এবং এক মেয়ে ছিল। মর্জিনা বলেছিলেন, রোজার পর তাঁকে জেল থেকে বের করবেন। তিনি এখন বের হতে চান। কুলসুমকে (প্রকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি) তিনি চেনেন না বলে জানান। ২২ মার্চ চট্টগ্রামের আদালত মূল রেজিস্ট্রার ২৩ মার্চ আদালতে দাখিল করতে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে নির্দেশ দেন। রেজিস্টারে থাকা আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর ছবির (২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর) সঙ্গে বর্তমান আসামি (মিনুর) ছবির অমিল পাওয়া যায়। এরপর ধার্য তারিখ ২৩ মার্চ চট্টগ্রামের আদালত জরুরি ভিত্তিতে ওই উপনথি হাইকোর্টে পাঠাতে আদেশ দেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (৪র্থ আদালত) বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞার পাঠানো চিঠিসহ ওই মামলাসংশ্লিষ্ট উপনথি গত ২৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। মামলা (নিষ্পত্তি হওয়া দায়রা মামলা-৫৯০ / ২০০৮) ও ফৌজদারি আপিল নম্বর (৪২৯৩ / ২০১৯) উল্লেখ করা ওই চিঠির শেষাংশের ভাষ্য, প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপনের জন্য উপনথি পাঠানো হলো।