আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে আবার টানা কর্মসূচি

কাল শুক্রবার ফাঁকা রেখে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে আবার টানা কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের।

বিএনপির একটি সূত্র বলছে, শনিবার থেকেই কর্মসূচি শুরু হতে পারে। আবার আরেকটি সূত্র বলছে, জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে শনিবারও ফাঁকা রেখে রোববার থেকেই নতুন কর্মসূচি শুরু হতে পারে। তবে এবারও অবরোধ দেওয়া হবে, না অন্য কোনো কর্মসূচি, সে সম্পর্কে এই সূত্রগুলো নিশ্চিত করতে পারেনি।

এদিকে গতকাল বুধবার সকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে কয়েকটি গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বিএনপির মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্দলীয় সরকারের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে ১৮-দলীয় জোট।

বিরোধী জোটের টানা ছয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় শেষ হচ্ছে। এরপর রাতেই অথবা শুক্রবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। জোটের একটি সূত্র বলেছে, আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য সব দিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে বিরোধী জোট।

বিএনপির একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার থেকেই আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবরোধ, হরতাল বা অসহযোগের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারানকোর ঢাকা সফরের সময় কর্মসূচিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসন কোনো নির্দেশনা দেননি। তবে বিষয়টি বিএনপির বিবেচনায় আছে।

এদিকে আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে নামতে পারেন বলেও একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে কবে থেকে আন্দোলনে নামবেন, সে সম্পর্কে সূত্রটি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। বিএনপির চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ম্যাডাম (চেয়ারপারসন) জানতে চেয়েছিলেন, তিনি মাঠে নামলে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি কী হবে।’

এদিকে আত্মগোপনে থাকা বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকালের ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এখনো সময় আছে দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে আত্মঘাতী পথ পরিহার করুন। প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিলের ব্যবস্থা নিন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিন। এ দাবি মেনে নিলে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপদ প্রস্থানের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দেশে নির্বাচনের পরিবেশ বিদ্যমান। অথচ তাঁর ‘তথাকথিত অবৈধ’ নির্বাচনী সরকারের বড় অংশীদার এইচ এম এরশাদ বলছেন, নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এরশাদ ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার ক্ষমতাও এই সরকারের আর অবশিষ্ট রইল না।