মশিউর রহমানের বই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘লেখার ভেতরে ইংরেজি শব্দ অনেক আছে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আসলে আরও ভালো লেখা চাই। কারণ, তিনি একজন শিক্ষক। তাঁর কাছে প্রত্যাশাটা বেশি। বইটির নাম সত্যি খুব ভালো হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানার চেষ্টা শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক কালে। বঙ্গবন্ধুর রচিত বইগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আমাদের সে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাঁর জীবনের দীর্ঘ যাত্রা পাঠ করা যায় বইগুলো পাঠ করে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই পাঠযোগ্য নয়। এটি আমি একমত।’
আসাদুজ্জামান নূর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন। তিনি বলেন, ‘তাঁর (বঙ্গবন্ধু) রাজনৈতিক দর্শন, দূরদর্শী পরিকল্পনা, মানুষকে নিয়ে ভাবনা, অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে ভাবনা—এগুলো নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে এখনো আমরা পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারিনি।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমানের লেখা ‘বাঙালির আশীর্বাদ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মশিউর রহমান নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এবং বেরোবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই গর্বের বাংলাদেশ করে দিয়েছেন, দিচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে যে মানুষটি, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যে পথ ধরে তিনি এগিয়ে চলেছেন সে পথ তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ। তিনি আরও বলেন, ‘পিতার দেখানো পথে আজকে আমরা চলছি বলেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা, অবস্থান। একটা আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা নিয়ে বলতে পারি যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ সেই জায়গায় যাওয়ার সঠিক পথে আমরা আছি।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. হাসিবুর রহমান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ আজম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেলাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, প্রকাশিত গ্রন্থটির লেখক সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও সম্প্রীতি প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী এ কে ওবায়দুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।