আনসার ও ভিডিপির পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সাইক্লিং শোভাযাত্রা সমাপ্তি

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সাইকেল শোভাযাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
বিজ্ঞপ্তি

মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বছরব্যাপী বাস্তবায়ন করছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এ ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২৬ জন মহিলা ও পুরুষ খেলোয়াড় নিয়ে সাইক্লিং শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ১ ডিসেম্বরে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে যাত্রা শুরু হয়। ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত রোববার কক্সবাজারে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়। এর মধ্য টুঙ্গীপাড়ায় বাহিনীর মহাপরিচালকসহ সাইক্লিস্টরা বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

রোববার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাইকেল শোভাযাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য জাফর আলম, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার ও সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, উপমহাপরিচালকেরা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সামরিক–বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাইক্লিং শোভাযাত্রা দলের খেলোয়াড়েরা ও বাহিনীর সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল ও অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর যেমন রয়েছে গৌরবৌজ্জ্বল অবদান, তেমনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সদা তৎপর রয়েছে। সাইক্লিং শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসে এটি আরেক বিজয়, এ বিজয় আনসার-ভিডিপির এবং আমাদের। এ বিজয়ের দিনে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে আজ অবধি দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি লেজার শোর আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ১০০টি ফানুস উড়িয়ে ও ৫০টি আতশবাজির ঝিলমিল আলোতে আলোকিত করা হয় সমুদ্রসৈকতের আকাশ। বিজ্ঞপ্তি