পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি করার জন্য যে ধরনের আন্দোলন হয়েছিল, সেই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য হয়তো একই ধরনের আন্দোলনের প্রয়োজন হবে—এমনই মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সন্তু লারমা এ মন্তব্য করেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় ছিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির জন্য সশস্ত্র ও নিরস্ত্র দুই ধরনের আন্দোলনই হয়েছিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্য উপস্থাপনের সময় সন্তু লারমা বলেন, যাঁর হাতে দেশ শাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা, তিনি যদি সাহস নিয়ে এগিয়ে আসেন, তাহলেই এই চুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব। তবু বাধা আসবে। কিন্তু তার দোহাই দিয়ে যদি সরকার কালক্ষেপণ করতেই থাকে, তাহলে চুক্তি আলোর মুখ দেখবে না। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বসে থাকবে না, তারা অবশ্যই নড়েচড়ে বসবে।
অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার জন্য চুক্তি হয়েছে বলে তাঁকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিতে সন্তু লারমা বলেন, তিনি আসলে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, ১৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও চুক্তি বাস্তবায়ন হলো না। তাহলে কি প্রশ্ন ওঠে না, অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার জন্যই এই চুক্তি?
মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, পাহাড়ে একধরনের বাঙালীকরণ, সামরিকীকরণ ও উগ্র ইসলামীকরণ চলছে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ উষাতন তালুকদার, সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সাবেক তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান।