আপিল বিভাগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ৪০৭৩ মামলা নিষ্পত্তি

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

করোনোভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ৪ হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ হিসাব গত ১৩ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ শনিবার জানিয়েছেন, শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে গত ১৩ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৪ হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়।

গত ১৩ জুলাই দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়, যার মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগ তথা সর্বোচ্চ আদালত নতুন এক অধ্যায়ে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলে আসছিল। আপিল বিভাগে দুজন বিচারপতি নিয়োগের পর ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের তথ্যমতে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২৩ হাজার ৬১৭টি মামলা বিচারাধীন ছিল। পরবর্তী সময়ে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যাসহ গণনায় পরিলক্ষিত হয় যে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৬০।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফা এর মেয়াদ বাড়ে। সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আদালতেও ছুটি চলে। এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ ছুটি চলাকালে গত ৯ মে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়।

অধ্যাদেশটি ৯ জুলাই আইনে পরিণত হয়। গত ১১ মে থেকে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চে এবং আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ১২ জুলাই ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরদিন থেকে আপিল বিভাগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।