আবার ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাল কাস্টমস
চীনের শেনজেন প্রদেশের দিঘি অ্যান্টি ফেইক কোম্পানি থেকে কাগজের নামে আনা আরও একটি কনটেইনার থেকে ১ কোটি ৬২ লাখ জাল ব্যান্ডরোল জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চালানটি খালাস করে সিগারেট বাজারজাত করার সময় ব্যবহৃত হলে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার শঙ্কা ছিল।
এ নিয়ে এ মাসে দুটি চালান থেকে জাল ব্যান্ডরোল জব্দ করা হলো। ৭ ডিসেম্বর জব্দ করা প্রথম চালানটি এনেছিল চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার বাপ্পু এন্টারপ্রাইজ। আজকের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের জুবিলী রোডের আরাফাত এন্টারপ্রাইজ। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের চালানে মোট ৪ কোটি ৮১ লাখ জাল ব্যান্ডরোল জব্দ করা হলো। সব মিলিয়ে দুটি চালান শনাক্ত করে ২৩০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি ঠেকিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেটে কাগজের যে ছোট পাতলা আবরণ ফিতার মতো জড়ানো থাকে, সেটি হলো ব্যান্ডরোল। ব্যান্ডরোল ছাপায় সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ। সেখান থেকে তা সংগ্রহ করে সিগারেটের কোম্পানিগুলো। আর বাজারজাতের সময় ব্যান্ডরোল ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট বিভাগে রাজস্ব পরিশোধ করতে হয়; অর্থাৎ সিগারেটের কর আদায় হয় এই ব্যান্ডরোলের মাধ্যমে।
কর্মকর্তারা বলেন, কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রপ্তানিকারক, রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসায়ের ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে পণ্য চালানটি সন্দেহজনক হিসেবে শনাক্ত করে। আজ একটি কনটেইনারের চালানটি খুলে তা নিশ্চিত হন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমের উপকমিশনার মো. সালাহউদ্দিন রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, চালানটি আটকে দেওয়ায় সরকারের অন্তত ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিতে পারেনি চক্রটি। আগের আমদানিকারকের মতো এই আমদানিকারকের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা ও বিভাগীয় মামলা করা হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের জব্দ করা জাল ব্যান্ডরোলের নমুনা ছবি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দিঘি অ্যান্টি ফেইক কোম্পানির ওয়েবসাইটে ছিল। তবে ৭ ডিসেম্বর প্রথম চালান শনাক্ত হওয়ার পরদিন ওয়েবসাইট থেকে সেই ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি নকলরোধী তামাকের লেবেল, পাসপোর্ট, ব্যালট পেপার, ভোটার আইডি কার্ড বানায় বলে ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে। যে কাগজ রপ্তানি করেছে, তা তাদের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় নেই।