আসামির জামিন আবেদন করার ওপর ৪ মাসের নিষেধাজ্ঞা

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা এক মামলায় একাধিক জামিন আবেদন নিয়ে তথ্য গোপন করায় ফেঁসে গেলেন এক আসামি। চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের পোস্টাল অপারেটর (সঞ্চয় শাখা কাউন্টার–১) মো. সরওয়ার আলম খান নামের এই আসামির দেশের যেকোনো আদালতে জামিন আবেদন করার ওপর চার মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। তথ্য গোপনের বিষয়টি নজরে এলে ওই আদেশ দেওয়া হয়।

আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেছেন, ওই মামলায় এক আবেদনে সরওয়ার আলম ও নুর মোহাম্মদের জামিন প্রশ্নে রুল বিচারাধীন ছিল। এ অবস্থায় নূর মোহাম্মদ আবার জামিন আবেদন নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি নজরে আনলে ২৪ জানুয়ারি জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় কীভাবে আবার (সরওয়ার আলমের) জামিন আবেদন করেন? আপনার ক্লায়েন্ট খুব স্মার্ট। পরে আদেশ দেওয়া হয়।
 
আদালতে সরওয়ার আলমের পক্ষে আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজিব শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে  শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

আইনজীবীর তথ্যমতে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রামের সমন্বিত কার্যালয়ে নূর মোহাম্মদ ও সরওয়ার আলমের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করা হয়। পরে দুজন এক আবেদনে হাইকোর্টে জামিন চান, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর জামিন প্রশ্নে রুল হয়। এই তথ্য আড়াল করে ওই মামলায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চে আবার জামিনের আবেদন করেন নূর মোহাম্মদ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারি নূর মোহাম্মদের জামিন প্রশ্নে রুল হয়। বিষয়টি নজরে এলে উচ্চ আদালত দুটি আবেদন ২৪ জানুয়ারি খারিজ করে দেন। পাশাপাশি নূর মোহাম্মদ চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন আবেদন করতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর তথ্য গোপন করায় আজ সরওয়ার আলমের ক্ষেত্রেও জামিন আবেদন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আদেশ হলো।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি সারওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় নূর মোহাম্মদ ও সরওয়ার আলমের করা এক জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ডিসেম্বর একই বেঞ্চ থেকে জামিন প্রশ্নে রুল নেন। সেই রুল ২৪ জানুয়ারি খারিজ হয়। এরপর তথ্য গোপন করে একই মামলায় দ্বিতীয় দফায় জামিন চেয়ে সরওয়ার আলমের আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট সরওয়ার আলমের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন। আবেদন খারিজ হওয়ায় সরওয়ার আলমকে কারাগারেই থাকতে হবে।