ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে গেছেন মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত। ১৪ এপ্রিল রাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। আরাফাত প্রথম আলোকে জানান, বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা থেকে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে হয় আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিযোগী হিসেবে নির্বাচিত হতে আমার তিন বছর সময় লাগল। আয়রনম্যান প্রতিযোগিতার ফিনিশ লাইনে বাংলাদেশের পতাকাসহ যখন পৌঁছে যাই, তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারার ভালো অনুভূতিটা কাজ করে। আশা করি, এবারও সেই কাজটা করতে পারব।’
আয়রনম্যান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়ার আগে মাসখানেক ধরে কঠোর অনুশীলন করেছেন আরাফাত। নিজেকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেন্ট জর্জ পাহাড়ি শহর। আর ঠান্ডাও অনেক বেশি। তাই প্রতিযোগিতার আগে এখানে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রতিদিনই অনুশলীন করব।’ এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সেন্ট জর্জ শহরেই আয়রনম্যান ৭০ দশমিক ৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেন আরাফাত।
আয়রনম্যান আরাফাত ২০১৭ সালে আয়রনম্যান মালয়েশিয়ায় অংশ নেন। এরপর ২০১৯ সালে জার্মানিতে আয়রনম্যান ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, আয়রনম্যান মালয়েশিয়া, ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান ৭০ দশমিক ৩ শেষ করেন।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ১০০০ কিলোমিটার দৌড়ে এবং বঙ্গোপসাগরে বাংলা চ্যানেল সাঁতারে সফল হয়ে আরাফাত দেশের তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছেন।
কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে আয়রনম্যান হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কঠিনতম ক্রীড়ায় সাফল্য পেয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নির্মাতা রেদওয়ান রনি তৈরি করেন তথ্যচিত্র ‘আয়রনম্যান আরাফাত’।
এবারের আয়রনম্যান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আরাফাতকে সহযোগিতা করছে প্রথম আলো। সহযোগী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে ডাবর হানি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই), হোন্ডা বাংলাদেশ-ডিএইচএস মটরস লিমিটেড ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।