ইতালি যেতে ইচ্ছুকদের জন্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

চাকরির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে ইতালি। এতে বাংলাদেশ থেকেও কর্মী যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্মীদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। তাই অবৈধ আর্থিক লেনদেন না করতে সবাইকে সতর্ক করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বুধবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
গত ১২ অক্টোবর কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইতালি সরকার। জানা গেছে, ২৪টি দেশ থেকে ৩০ হাজার ৮৫০ জন কর্মী নেবে দেশটি। এর মধ্যে ১২ হাজার ৮৫০ জন স্থায়ী ও ১৮ হাজার খণ্ডকালীন বা অস্থায়ী।

কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া তুলে ধরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে ইতালির স্থানীয় ডিসি অফিসে অনাপত্তির জন্য আবেদন করবেন সে দেশের নিয়োগকর্তা। নিয়োগকর্তার আয়সহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে অনাপত্তি প্রদান করা হবে। এরপর এ অনাপত্তিপত্র বাংলাদেশে থাকা কর্মীর কাছে পাঠাবেন নিয়োগকর্তা। ওই কর্মী অনাপত্তিপত্রসহ ইতালির দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। ভিসা পাওয়ার পর ইতালি গিয়ে নিয়োগকর্তার সঙ্গে ডিসি অফিসে বসে চুক্তি করবেন কর্মী।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় আবেদন দাখিলের সময় সরকার নির্ধারিত রাজস্ব স্ট্যাম্প বাবদ ১৬ ইউরো ফি পরিশোধ করতে হবে। আর যাঁরা আবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট হেল্প ডেস্কের সহায়তা নেবেন, সার্ভিস চার্জ বাবদ একটি ফি পরিশোধ করতে হতে পারে তাঁদের। এটি ৫০ থেকে ১০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে এ ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই। অনাপত্তি পাওয়ার পর নির্ধারিত ভিসা ফি দূতাবাসে জমা দিয়ে ভিসার আবেদন করবেন কর্মী।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অস্থায়ী কর্মী হিসেবে ইতালি গিয়ে ৯ মাস কাজ করার সুযোগ পান কর্মীরা। তবে পরের বছর তাঁরা আবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ পান। কিন্তু অনেক কর্মী চুক্তি শেষে দেশ না ফেরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় ইতালি। মাঝখানে কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর এবারই আবার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মী নিতে আবেদন করতে পারবেন নিয়োগকর্তারা। এ প্রক্রিয়ায় একজন কর্মীর তেমন কোনো খরচ নেই। কিন্তু দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীরা কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দালালের খপ্পরে না পড়ে ইতালি থেকে আসা অনাপত্তিপত্র প্রবাসী মন্ত্রণালয় বা বায়রা কার্যালয় থেকে কর্মী যাচাই করে নিতে পারেন। আর ভিসা হাতে পাওয়ার আগে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না।