করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলেই এগিয়ে আসেন তাঁরা

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন চাঁদপুরের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। মৃতদেহ সমাধিস্থ করতে এগিয়ে আসেন ইসলামী স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা।
এ নিয়ে চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৪৮ জনের লাশর দাফন ও সৎকারে সহায়তা করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এর আগে দলটির সদস্যরা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির লাশ সৎকারে সহযোগিতা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তির (৫৫) বাড়ি চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল সংলগ্ন খ্রিষ্টানপাড়ায়। তিনি ১০ দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনাও দিয়ে আসেন। কিন্তু পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই বুধবার সকালে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। তবে মৃতদেহ সমাধিস্থ করার জন্য আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেননি। খবর পেয়ে দুপুর ১২টায় ইসলামী স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা এগিয়ে আসেন। তাঁরা লাশ চাঁদপুর শহরের বিকল্প লঞ্চঘাট এলাকার খ্রিষ্টান কবরস্থানে নিয়ে সমাধিস্থ করেন।
ইসলামী স্বেচ্ছাসেবী দলটি গঠন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে। সংগঠনের চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি শেখ মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। করনা পরিস্থিতিতে ধর্মের দিকে না তাকিয়ে মানবতার কল্যাণে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছেন। যত দিন পর্যন্ত এ রকম পরিস্থিতি থাকবে তত দিন সহায়তা চলবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইসলামী স্বেচ্ছাসেবী দলের ১১টি দল কাজ করছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন-কাফন করছেন তাঁরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই লাশ দাফনের খরচ বহন করেন। তবে দূরে কোথাও যেতে হলে যানবাহনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকে স্থানীয় প্রশাসন। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্য আছেন ইয়াছিন রাশেদ সানী, আনোয়ার আল নোমান, হেলাল আহমাদ, মাহদী হাসান, মুহাম্মাদ সাব্বির আহমাদ, আল আমিন সোহেল,আশেক এলাহি, নাজমা ও লিপি।