ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় ভাষণ দেন পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বুধবার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী। একই সঙ্গে পালন করা হয়েছে জাতীয় শিশু দিবসও।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে সকালে দিনের সূচনা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। এরপরই সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর সকাল ১০টায় কলকাতার ঐতিহাসিক সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষ ও কক্ষের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ কলকাতার বিশিষ্টজনেরা। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিকেল ৫টায় কলকাতার রবীন্দ্র সদনে আয়োজন করা হয় জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলকাতার বিদায়ী পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকার ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজশেখর বসু। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বে পৃথিবীর বুকে একটি দেশের জন্ম হয়েছে, যার নাম বাংলাদেশ।

আলোচনা সভার পর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে মুজিব বর্ষের গান পরিবেশন করেন কলকাতায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন কলকাতার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। আবৃত্তি করেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়।

বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় বেকার হোস্টেলের থেকেছেন ১৯৪২ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত। তিনি ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। সেদিনকার সেই ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে এখন করা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ।