কার্টুনিস্ট কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ২৫ এপ্রিল

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর
ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। ২৫ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আদালতে হাজির হন আসামি মিনহাজ মান্নান ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল আলম। মিনহাজের পক্ষ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হয়, এই আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তিনি উচ্চ আদালতে রিভিশন করেছেন। এমন অবস্থায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন দিন ঠিক করেছেন। এই মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

আহমেদ কবির কিশোর আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর জামিন বাতিল করেছেন আদালত। পলাতক অপর চার আসামি হলেন সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকার নাইন, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর কিশোর, দিদারুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলার পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। তাতে কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ভূঁইয়াকে আসামি করা হয় এবং আটজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী মুশতাক আহমেদ মারা যান। এ কারণে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, তাঁরা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন। ২০২০ সালের মে মাসে রমনা থানায় ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র‍্যাব।