ক্যামেরা যখন চালিয়েছি মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন: গৌতম ঘোষ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতার জীবন পর্দায় তুলে আনছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ। এই তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে নিজের কেমন অনুভূতি হয়েছে, তা তুলে ধরেছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র পরিচালক।
আজ শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গৌতম ঘোষ বলেন, ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু তথ্যচিত্র নির্মাণে একটি আবেগ কাজ করেছে। যখন আমি ক্যামেরা চালিয়েছি তখন মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ এ তথ্যচিত্র নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই সবচেয়ে বস্তুনিষ্ঠ মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (ভারত চ্যাপ্টার) এর যৌথ প্রযোজনায় ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। গৌতম ঘোষ বলেন, ‘লেটস সি, দেখা যাক। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করব। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ব্যাপ্তি এত বড় যে কলকাতার পর্বটি দেখলেই বোঝা যাবে তাঁর সাহসিকতা।’ এ তথ্যচিত্র সম্পূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধুর ওপরই নির্মিত হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এ ধরনের তথ্যচিত্র স্বাধীনতার পর তৈরি করলে ভালো হত। ১৯৭৫ সালে এক অন্ধকার নেমে আসার কারণে এ বিষয়ে এগোনো যায়নি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কলকাতার পর্বটি বাদ দিলে বঙ্গবন্ধুরর জীবন সম্পর্কে জানা অপূর্ণ থেকে যায়।
কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে পড়া, বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, ব্রিগেডের ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ- এমন আরও অনেক কিছু বঙ্গবন্ধুর প্রিয় এই শহরের অলিগলি থেকে তুলে এনে ক্যামেরাবন্দি করছেন গৌতম ঘোষ। এই তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, কলকাতায় তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে।
গত এপ্রিলের শুরুর দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত মৌলানা আজাদ কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রের শুটিং শুরু হয়। দীর্ঘ গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি চিত্রনাট্যটির আলোকে তথ্যচিত্র নির্মাণের বিষয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সত্যম রায়চৌধুরী।