অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।
আদালত আগামী ২৯ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আতাউর রহমান এ তারিখ ধার্য করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে করা অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। খন্দকার মোশাররফ হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
গতকাল শুনানির আগে খন্দকার মোশাররফকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির হরা হয়। অভিযোগ গঠন শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী টি এম আকবর, বোরহান উদ্দিন ও তাহেরুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত মুদ্রা বিদেশে পাচার করেন। ওই সময়ে খন্দকার মোশাররফ তাঁর ও স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮০৪১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় দুদক এ মামলা করে। ওই বছরের ১৪ আগস্ট দুদক তদন্ত শেষে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।