১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের কথা শুনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদ জিয়ার নীরব থাকার ভূমিকাকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ওই মামলার বিচারক। ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার ৫১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক সাদিক হাসান রুমী টেলিফোনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকের ঘটনা তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জানান। এ সময় খালেদা জিয়া কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ঘটনাটি অবগত আছেন এবং একটি কমিটি করে দেবেন বলে সাদিক হাসান রুমীকে জানান। এত বড় একটি ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে কোনোরূপ কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে তত্কালীন সরকারপ্রধানের এরূপ নীরব ভূমিকা পালনও রহস্যজনক বলে প্রতীয়মান হয়।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিঘাটে খালাসের সময় দেশের ইতিহাসে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান আটক হয়। এ ঘটনায় ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল দুটি মামলা হয়। অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার দুটি ধারায় এই ১৪ জনকে যাবজ্জীবন ও সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।