খুলনায় স্কুলছাত্র সাত দিন ধরে নিখোঁজ
একের পর এক শিশু হত্যা, নিখোঁজ ও উদ্ধারের ঘটনার ধারাবাহিকতায় এবার খুলনায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাত দিন ধরে নিখোঁজ থাকার খবর জানা গেল। এ ছাড়া রাজধানীর একটি এতিমখানা থেকে নিখোঁজ এক মেয়েশিশুকে ভোলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকার ধামরাইয়ের দুই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বাহাদুর নামের আরেকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর ঢাকার কেরানীগঞ্জে অপহৃত স্কুলশিশু আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার এবং তার অভিযুক্ত স্বজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জের ধরে এলাকাবাসী মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ এখনো চলছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খরব:
খুলনা: নিখোঁজ শিক্ষার্থী হলো দাকোপ উপজেলার চুনকুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বিদ্যুৎ মণ্ডল (১৪)। সে দাকোপ ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের নির্মল মণ্ডলের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ গত ২৮ জানুয়ারি বই কিনতে চাচাতো ভাই সাগর মণ্ডলের (১৮) সঙ্গে বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে যায়। ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সাগর বিদ্যুৎকে বারবার ফোন দিলেও সে তা ধরেনি।
এ ঘটনায় বিদ্যুতের চাচা শ্যামল মণ্ডল বাদী হয়ে গত ৩০ জানুয়ারি দাকোপ থানায় একটি জিডি করেন।
দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
ভোলা: এদিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি এতিমখানার নিখোঁজ এক মেয়েশিশুকে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ঘোষের হাওলা গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল এতিমখানা ‘ফ্যামিলি ফর সিলড্রেনে’ পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। চাঁদপুর ইউপির দফাদার মো. সোহরাব হোসেনের ভাষ্যমতে, গত রোববার উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ওই এতিমখানার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটিকে (১৩) বিয়ের কথা বলে তজুমদ্দিনের ঘোষের হাওলা গ্রামে নিয়ে যায় রুবেল নামের এক বখাটে।
দুই স্কুলছাত্র হত্যায় আরেকজনের স্বীকারোক্তি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই স্কুলছাত্রের গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বাহাদুর (২২) নামের আরেক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাহাদুরের বাড়ি ঢাকার ধামরাই উপজেলার চরচৌহাট গ্রামে। তিনি নিহত দুই স্কুলছাত্রের একজন শাকিলের প্রতিবেশী চাচা। গতকাল সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ওই জবানবন্দি দেন তিনি।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান বলেন, অপহরণের পর শিশু ইমরান ও শাকিল অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় তাদের হত্যা করা হয়।
আবদুল্লাহ হত্যায় ক্ষোভ-উদ্বেগ কাটেনি: কেরানীগঞ্জের মুগারচর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহকে হত্যার পর গ্রামের মানুষ এবং তার সহপাঠী ও স্কুলের শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে এখনো ক্ষোভ-উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাঁরা শিশুটির অভিযুক্ত স্বজন মোতাহার হোসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।