বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকে প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখে থাকতে হয়। এর মধ্যে টেলিভিশনের চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। তাঁরা বলেন, দেশে গণমাধ্যমের প্রসার হলেও তাতে গণমানুষের কথা কম থাকে।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় এই আলোচনার আয়োজন করে মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
‘সম্প্রচার সাংবাদিকতার উন্নয়ন অগ্রগতি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি সম্প্রচার নীতিমালা করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৭ সালের প্রথম দিকেই সম্প্রচার আইন, কমিশন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে ওয়েজবোর্ড প্রণীত হবে।
তথ্যমন্ত্রী জঙ্গিবাদ দমনে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেলিভিশনের একটি ছবি অনেক সময়ে দীর্ঘ বক্তৃতার চেয়ে মূল্যবান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সাংবাদিকেরা প্রথম সারির মানবাধিকারকর্মী। গণমাধ্যমে উন্নয়নের কথাও তুলে ধরতে হবে। টেলিভিশন সাংবাদিকদের যৌথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এম আবদুল মোমেন বলেন, টেলিভিশনের জন্য প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জ। কিন্তু শুধু নেতিবাচক খবর নয়, ভালো খবরও মানুষ শোনে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় ইতিবাচক দিকও আছে, নেতিবাচক দিকও আছে। গণমাধ্যমে গণমানুষের কথা একেবারে তলানিতে। এটাই এ দেশের গণমাধ্যমের সবচেয়ে দুর্বলতা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী এম এম বাদশাহ। সভাপতিত্ব করেন এম কে বাশার।