গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির

করোনা মহামারি চলাকালে নিরপেক্ষ গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আক্রমণ জোরালো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের মাধ্যমে এ আক্রমণ জোরদার করা হয়েছে। নিপীড়নমূলক এ আইন প্রয়োগের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ করে মানবাধিকার সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সরকারের সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের উপাত্তের বরাতে অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত দুই বছরে এ আইনের অধীন প্রায় ২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ শতাধিক মামলা করা হয়েছে শুধু চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে। ক্রমবর্ধমান হারে এ আইনের নিশানা বানানো হয়েছে দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে।

মানবাধিকার সংস্থাটির অভিযোগ, বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা চালাতে ডিজিটাল আইনের অস্পষ্ট ও ব্যাপক অর্থবোধক ধারাগুলোর অপপ্রয়োগ করেছে।

এ প্রসঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আইনটি কার্যকর করার পর থেকেই একে সমালোচকদের কণ্ঠরোধ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে এক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক দমনাভিযান ও বিশিষ্ট সাংবাদিকদের ক্রমেই বেশি নিশানা বানানোর ঘটনা স্পষ্টত কর্তৃপক্ষের এক হতাশাজনক পদক্ষেপ। এমন পদক্ষেপ আড়াল করতে কোভিড-১৯ সংকটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের সংবিধান ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতার আলোকে এই আইনকে অবশ্যই উল্লেখযোগ্যভাবে সংস্কার করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।