গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংগতি পায়নি কর্তৃপক্ষ
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মানবিক বিভাগের ফলাফলে কোনো অসংগতির পায়নি কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার মানবিক বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হলে অনেক শিক্ষার্থী ফলাফলে বিভিন্ন অসংগতির অভিযোগ করেন। পরে ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল সাময়িক সময়ের জন্য সরিয়ে রাখা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আবার ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আজ রোববার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুনাজ আহমেদ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ ওঠায় আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এ জন্য সাময়িক সময়ের জন্য ফলাফল ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে যাচাই-বাছাই করে কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি। ফলাফল আবার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।’
মুনাজ আহমেদ বলেছেন, এরপরও কোনো শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের ফলাফলে কোনো অসংগতি মনে হলে তাঁরা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে পুনর্মূল্যায়ন আবেদন ফি দিতে হবে। আবেদন ফি শিক্ষার্থীদের সামর্থ্যের মধ্যে রাখা হবে।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা ওএমআর সিটে (নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র) অনেক সময় বৃত্ত ভরাট করতে ভুল করে থাকেন। এর দায় কর্তৃপক্ষ নেবে না। তাঁদের ফলাফল প্রকাশে যথেষ্ট সহায়তা করে কর্তৃপক্ষ। এরপরও যেসব শিক্ষার্থীর অভিযোগ থাকবে, তাঁরা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন। ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্টি ‘৫ শতাংশের’ নিচে।
গতকাল যা ঘটেছিল
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সমন্বিত ভর্তিসংক্রান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল প্রকাশের পর একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ফলাফলে বিভিন্ন অসংগতির অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মিলিয়ে প্রাপ্য নম্বর থেকে অনেক কম নম্বর দেখা যাচ্ছে। অনেকের বাংলা বিষয়ের নম্বর ইংরেজি বিষয়ের নম্বরে এসেছে, আবার অনেকের ইংরেজি বিষয়ের নম্বর বাংলা বিষয়ে এসেছে। শিক্ষার্থীরা যতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ফলাফলে তার থেকে কম দেখা যাচ্ছে। রাতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রথম আলোর কাছে এসব অভিযোগ করেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলো থেকে রাত আটটার দিকে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়াসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা অসংগতির অভিযোগ নাকচ করেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরই ভর্তিসংক্রান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ওই ফলাফল দেখা যাচ্ছিল না।
এতে প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণের কারণ দেখানো হয়। তবে রাতে আর এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে সকালেও কিছু শিক্ষার্থী প্রথম আলোর কাছে একই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পরীক্ষার্থীদের পুনর্মূল্যায়ন আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন।