গ্রিসে বছরে চার হাজার কর্মী পাঠানোর সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চার হাজার নতুন কর্মীকে কাজ করার সুযোগ দেবে গ্রিস। পাঁচ বছর মেয়াদি অস্থায়ী কাজের অনুমতি পাবেন তাঁরা। আপাতত শুধু কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হলেও ধাপে ধাপে অন্য খাতে চাহিদার ভিত্তিতে কর্মীর সংখ্যা বাড়াবে দেশটি। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মীদের দেশে ফিরে আসতে হবে।

আজ বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আজ দুপুরে ঢাকার প্রবাসীকল্যাণ ভবনে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের পক্ষে গ্রিসের মিনিস্টার অব মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম প্যানাইয়োটিস মিতারাচি এতে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর গ্রিসের মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এ চুক্তি গ্রিসের সংসদে অনুমোদনের মাধ্যমে শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশি কর্মীরা পরিশ্রমী হলেও মানব পাচারকারীরা তাঁদের ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।

ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে এটি বাংলাদেশের কর্মসংস্থানসংক্রান্ত প্রথম সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা নিরাপদে গ্রিসে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর নিয়োগকারীরা নিজেদের খরচে কর্মী নিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যক্তি যেন কোনোভাবে কোনো দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রিসে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশের কর্মীদের আবেদনের সময় বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্টস, বৈধ ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট, অসুস্থতাজনিত ইন্স্যুরেন্সের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে। এ ছাড়া গ্রিসে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং রিপাবলিক অব হেলেনিক গ্রিসের সেক্রেটারি জেনারেল অব মাইগ্রেশন পলিসি পেট্রোক্লস জর্জিওজিয়াডিস উপস্থিত ছিলেন।