চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছে: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অফুরন্ত সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পাশাপাশি নগরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সাক্ষাতের পর ব্রিফিংয়ে এ উদ্যোগের কথা জানান ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে পরিকল্পিত পরিবহনব্যবস্থা ও মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্যে কোইকার সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় প্রায় ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদান ৫১ কোটি টাকা।

সচিবালয়ে এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ও কোইকার প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে একটি বিশেষজ্ঞ সার্ভে টিম বাংলাদেশ সফরে এসেছে। দলটি ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের উপস্থিতিতে ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সার্ভে টিম ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে এক রিভিউ সভায় মিলিত হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীর জন্য একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে। পাশাপাশি ম্যাস ট্রানজিট লাইন বা মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও করা হবে।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, নগরীর উন্নয়ন চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে সার্কুলার রোড, রেডিয়াল রোড, মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, বাস টার্মিনালের জন্য স্থান নির্ধারণ, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনার সমীক্ষাও সম্পন্ন করা হবে।

এই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করেন ওবায়দুল কাদের।

চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও কোইকাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রেলমন্ত্রী।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।

রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন বলেন, বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে মেট্রোরেল প্রকল্প নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।