সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নীতিমালাটি সাধারণ মানুষ এখনো জানেন না। তাই জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীর সুরক্ষা প্রদান নীতিমালা- ২০১৯, দ্রুত প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
সোমবার বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) উদ্যোগে ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব দাবি জানান। সেমিনারে নিরাপদ সড়ক চাই–এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী নীতিমালা তৈরি করেছে, তা আমরা জানি না। সেই নীতিমালা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়নি। নীতিমালা জানার পর তা বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসবে।
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইনেও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা সেবার বিষয়ে করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এসব নীতিমালা বাস্তবায়ন করা যাদের দায়িত্ব, তারা পালন করেন না।
সেমিনারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির চিকিৎসায় সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল অবহেলা করলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। দায়িত্বে অবহেলাকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নীতিমালায়।
জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নীতিমালা দ্রুত প্রকাশের দাবি জানান ব্লাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, নীতিমালার কপি দ্রুত সিভিল সার্জনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া দরকার। তাতে এক শতাংশ মানুষও যদি সচেতন হয়, তাতে অনেক লাভ।