জায়েদ-নিপুণের আবেদন শুনানি আগামী ৫ জুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে পক্ষগুলোর (নিপুণ আক্তারের লিভ টু আপিল ও জায়েদ খানের করা আবেদন) করা আবেদনগুলো শুনানির জন্য ৫ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ আবেদনগুলোর শুনানি ২৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী নাহিদ সুলতানা ও মজিবুল হক ভূঁইয়া। চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান। এ সময় আদালতকক্ষে নিপুণ ও জায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।
আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।
এ অবস্থায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২ ফেব্রুয়ারির চিঠি ও আপিল বোর্ডের ৫ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ২ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধতা পায়।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে নিপুণ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিতের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
এ দিকে গত ৬ মার্চের আদেশ না মানায় নিপুণ ও আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেন জায়েদ। অন্যদিকে আগের ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
সেদিন আপিল বিভাগ সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থিতাবস্থা দুই পক্ষকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনটি ৪ সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয় (স্ট্যান্ড ওভার)। আদালত বলেছেন, এ সময়ের মধ্যে কেউ চাইলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে পারবেন।
পরে নিপুণ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। আর হাইকোর্টের রায়ে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জায়েদ খান আরেকটি আবেদন করেন। পৃথক আবেদনগুলো আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, লিভ টু আপিলসহ অপর আবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য ৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।